
প্রতিবেদক: আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক একটি গ্যারান্টি নগদায়ন ঠেকানোর জন্য আদালতে দায়ের করা এক রিটের জন্য ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার আইনি বিল দিয়েছে। এই রিটের কাগজকলমে আইনজীবী হিসেবে নাম রয়েছে ব্যারিস্টার রাহাত খলিলের, তবে বিলের ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা পেয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিদর্শনে উঠে এসেছে।
পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক রিট পিটিশন দাখিল করে, যাতে কাস্টমসের কাছে ৬ কোটি টাকার ১৫টি ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়ন হতে না পারে। এই মামলাটি প্রথমে ব্যারিস্টার রাহাত খলিল দেখছিলেন, কিন্তু ১১ বছর ধরে মামলার শুনানি কার্যত হয়নি, এবং ২০ বার ‘স্টে অর্ডার’ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ‘স্টে অর্ডার’ এর জন্য গড়ে ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল অস্বাভাবিক মনে করেছে।
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের শিডিউল অব চার্জে ‘স্টে অর্ডার’-এর বিল সম্পর্কে কোনো উল্লেখ নেই। তবে ব্যাংকের আইন বিভাগ জানিয়েছে, অন্য ব্যাংকগুলো সাধারণত ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ‘স্টে অর্ডার’ বিল হিসেবে দেয়। এতে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা থাকলেও, রাহাত খলিলের নামে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বিল করা হয়েছে, এবং এর বেশিরভাগ অর্থ আইনজীবী ফজলে নূর তাপসকে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই রিট পিটিশনে কোনো শুনানি হয়নি এবং সময় ক্ষেপণ করার জন্য ‘স্টে অর্ডার’ নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংকটির জন্য কোনো লাভ হয়নি, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার দায়িত্ব থেকে রেহাই পেতে পারেন না।
ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, ব্যারিস্টার রাহাত খলিল বলেছেন, ১৮ বছরের আইনি বিলের পরিমাণ তাঁর খ্যাতির সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি দাবি করেছেন, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষোভ ছিল। এমডি কে ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়ার জন্য একটি চক্রান্ত করা হয়েছে, আর সেই ক্ষোভ থেকেই এমন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। রাহাত খলিল আরও জানান, তাঁর নাম রিট পিটিশনের আইনজীবী হিসেবে থাকলেও, ব্যারিস্টার তাপস কেন ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো প্রশ্ন করেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাহাত খলিল অ্যান্ড এসোসিয়েটসকে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক মোট ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা লিগ্যাল বিল হিসেবে দিয়েছে। এতে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ব্যাংকের আইন বিভাগের বর্তমান প্রধান ২০২২ সালে যোগ দেওয়ার পর এভাবে বিল দেওয়ার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানান। তবে, ব্যাংকের এমডি তাঁকে নির্দেশ দেন আগের মতো বিল দিতে।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক প্রথমে ১৯৮৭ সালে আল-বারাকা ব্যাংক নামে কার্যক্রম শুরু করে, পরে ২০০৪ সালে ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানায় এর নাম পরিবর্তন করে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক রাখা হয়। ২০০৬ সালে ব্যাংকে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ করে। এরপর ব্যাংকটি পুনর্গঠন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক হিসেবে নামকরণ করা হয় এবং মালয়েশিয়া ভিত্তিক আইসিবি গ্রুপ মালিকানা গ্রহণ করে।
২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বরে পর্যন্ত ব্যাংকটির এমডি ছিলেন শফিক বিন আব্দুল্লাহ, যিনি কর্মকর্তাদের আন্দোলনের মুখে ব্যাংক ছাড়েন এবং মালয়েশিয়া চলে যান। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক মজিবুর রহমানকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। বর্তমানে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ৭৫১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৬৫ কোটি টাকা বা ৮৮.৬৪% খেলাপি। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক মজিবুর রহমান বলেছেন, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বিশেষ অডিট পরিচালনা করেছে, তবে এখনও কোনো পরিপালন প্রতিবেদন পাননি। তিনি জানালেন, সাবেক এমডির সময়ে ঘটে যাওয়া অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যাংকটির মালয়েশিয়ান মালিকদের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে, তবে তিনি সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়ায় এর বেশি কিছু বলছেন না।
শতকোটি টাকার জমি, সাড়ে ৩৩ কোটিতে বিক্রি
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টঙ্গী শিল্প এলাকায় রাজউকের চারটি প্লটে ৩৮৫ শতাংশ জমির মালিক ছিল আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। এই জমি ২০০১ সালের জুলাই থেকে ব্যাংকের দখলে ছিল। তবে ২০২০ সালের আগস্টে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একক ক্ষমতায় জমিটি বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর কাছে মাত্র ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই জমির প্রকৃত বাজারমূল্য ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি।
এটি মূলত ২০০১ সালের আগে টঙ্গী টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে বন্ধক ছিল। ১০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বিপরীতে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যাংক মালিকানা লাভ করে। তবে, ব্যাংকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে তৎকালীন এমডি নিয়মবহির্ভূতভাবে এই জমি বিক্রি করেন অনেক কম দামে, যা প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে এমডির বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালে জমির বাজারমূল্য ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি এবং বর্তমান বাজারমূল্য আরও অনেক বেশি। তিনি জানিয়েছেন, আবুল খায়ের লিটুর কাছ থেকে জমি বাবদ ৬৫ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংকের তৎকালীন এমডি ও কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। ব্যাংকের নামে মাত্র ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা জমা দেখানো হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে যে, আবুল খায়ের লিটুর মালিকানাধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান—সুইটস বেঙ্গল, বেঙ্গল এক্সেস, অরণ্য ক্রাফটস ও তমা স্যাটেলাইট ক্যারভ নেটওয়ার্কের অনুকূলে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই ঋণের অনুমোদনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়নি, যা নিয়মবহির্ভূত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমডি একক ক্ষমতায় ঋণ অনুমোদন করেছেন এবং ঋণ অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করা হয়েছে।
কমিশন বিতরণে অস্বাভাবিকতা
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ২০১৮ সাল থেকে ২৪ কর্মকর্তাকে আমানত আনার কমিশনের নামে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা নগদে প্রদান করেছে। এর মধ্যে এক্সিকিউটিভ অফিসার হুমায়রা জাহান ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার কমিশন পেয়েছেন, যা নবায়নকৃত আমানতের বিপরীতে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই প্রণোদনা প্রদানের প্রক্রিয়াকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছে।
এ বিষয়ে হুমায়রা জাহান বলেন, “আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কেউ টাকা রাখতে চায় না। ব্রোকার, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি আমানত এনে দেওয়ায় কিছু খরচ দেওয়া হয়েছে, তবে ব্যাংকের কোনো লোকসান হয়নি।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, যদিও কমিশন অন্যের নামে ভাউচার করা হয়েছে, এর আসল সুবিধাভোগী হচ্ছেন ব্যাংকের এমডি সহ পাঁচ কর্মকর্তার একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ব্যাংককে ঠকিয়ে খরচের নামে বিপুল অর্থ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার কমিশন উল্লেখ করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে নেয়া হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ‘অন্যান্য’ খাতে খরচ দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে উঠে আসা অনিয়মগুলো ব্যাংকের আর্থিক সচ্ছলতা এবং পরিচালনা ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রশ্ন তোলে।
পরামর্শক বিলের নামে ভাগবাটোয়ারা
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে নতুন করে উঠে এসেছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে পরামর্শক বিলের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা। ব্যাংকের ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের প্রধান শাখাওয়াত হোসেনের ভাই মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, যিনি আইনজীবী নন, ২০১৯ সাল থেকে প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা সম্মানিতে ব্যাংকে ভ্যাট ও ট্যাক্স কনসালট্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত তাঁকে মোট ১ কোটি ৫ লাখ টাকা সম্মানি প্রদান করা হয়। পরে আতিকুরের জায়গায় তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে নিবন্ধিত বিজনেস কনসালটেন্সি সার্ভিস নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়, যারা প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা সম্মানি পাচ্ছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, আতিকুরের সম্মানীর মধ্যে ব্যাংকের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ কিপসিয়া পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। তবে, শাখাওয়াত হোসেনকে বিষয়টি জানাতে চেষ্টা করলেও তাঁর কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এরপর, ব্যাংকটির ভ্যাট-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এসবিএস ল’ কনসালট্যান্টস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৭৫ লাখ টাকা নেওয়া হয়। তবে, ল’ ফার্মের মালিক সুজন চন্দ্র দাস লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে তিনি মাত্র ১৩ লাখ টাকা পেয়েছেন এবং বাকি অর্থ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস বিভাগের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেনের প্রতিনিধি নিয়েছেন। এছাড়া, ব্যাংকটির ট্রেজারি বিভাগের প্রধান দেলোয়ার হোসেনও ২ লাখ টাকা নিয়েছেন, তবে তার কোনো ভাউচার নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাখাওয়াত হোসেন, দেলোয়ার হোসেনসহ এই কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা ব্যাংকের এমডির অনুমোদনে হয়েছে। প্রতিবেদনে তৎকালীন এমডি সহ এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, তবে দুই মাস আগেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে জানান, “ব্যাংকটিতে প্রশাসক বসানো হয়েছে এবং প্রতিটি জালিয়াতি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অনিয়ম
প্রতিবেদনটি আরও জানায়, করোনাকালীন সময়ে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি মালয়েশিয়ায় জুম প্ল্যাটফর্মে সভা আয়োজনের জন্য ৮৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ৫১০ ডলার সুইফটের মাধ্যমে পাঠানো হলেও, বাকি ৩৮ হাজার ৪৯০ ডলার ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি শফিক বিন আব্দুল্লাহ নগদে তুলে নিয়েছেন।
এছাড়া, শুভ্র ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ ছিল ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা একাধিক ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের পর ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি, অথচ ৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এমডি শফিক বিন আব্দুল্লাহ এর পর ১৮১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেন, যার মধ্যে ১০৯ কোটি টাকা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পুঞ্জীভূত লোকসান গত বছরের জুন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩ কোটি টাকা, যা ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে।