‘আশিক ম্যাজিক’ বনাম বাস্তবতা: বিদেশি বিনিয়োগে আশাবাদ কতটা যুক্তিসঙ্গত?

প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে ৪১ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ন্ত বিমান থেকে বাংলাদেশের পতাকা হাতে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ওই স্কাইডাইভের স্বীকৃতি আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে, যা তাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করে তোলে।

এর কয়েক মাস পর, ১২ সেপ্টেম্বর, আশিক চৌধুরী বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর আশিক চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রচারণামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ হিটম্যাপ তৈরি, আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন, এলন মাস্কের স্টারলিংক নিবন্ধন, নাসার সঙ্গে মহাকাশ অনুসন্ধানে চুক্তি এবং সকল বিনিয়োগ প্রচারণা সংস্থাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার পদক্ষেপ।

সর্বশেষ উদ্যোগ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে ডেনমার্কভিত্তিক এপি মোলার মায়ের্স্কের বিনিয়োগ নিশ্চিত করেন তিনি, যার মাধ্যমে দেশের লজিস্টিক অবকাঠামো উন্নয়নের আশা করা হচ্ছে। এসব প্রচারণামূলক উদ্যোগ তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় করে তুলেছে এবং বিনিয়োগে নতুন ধারা আনার প্রবক্তা হিসেবে চিত্রিত করেছে।

তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। নিয়োগের পর গত সাত মাসে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়নে আশিক চৌধুরীর তৎপরতা যতটা আলোচিত হয়েছে, তার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে, বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহে পড়েছে বড় ধরনের ধস, এবং মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিও কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) নিট প্রবাহ হয়েছে মাত্র ৮৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ প্রবাহ ছিল ১১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা থেকে বোঝা যায় এফডিআই প্রবাহে ২৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

একইভাবে, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বাবদ ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের ২১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের তুলনায় ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। বিনিয়োগ পরিস্থিতির বাস্তবতা জানতে চৌধুরী আশিক মাহমুদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বিনিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ এবং তা সরাসরি অর্থনীতির অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। হঠাৎ করে বিনিয়োগ বাড়ে না। অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক পরিবেশ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফল পেতে সময় লাগবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতক্ষণ না প্রচারণা কার্যক্রম বাস্তবভিত্তিক নীতিমালার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু আলোচনায় থাকা কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের নির্দেশক হতে পারে না।

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার চার দিনের মাথায় তিনি ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (FICCI) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আশাবাদী আশিক জানান, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলবে।

এরপর থেকেই আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ধারাবাহিক একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ৩০ অক্টোবর তিনি উদ্বোধন করেন ‘স্টেট অব ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ শীর্ষক ওয়েবিনার, যেখানে ব্যবসার স্বচ্ছতা এবং ন্যায্য পরিবেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল ব্যবসা পরিচালনার সহজতা এবং দুর্নীতিবিরোধী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

গত ১৮ নভেম্বর বিডা ঘোষণা দেয়, তথ্যনির্ভর কৌশলগত প্রচারের অংশ হিসেবে এফডিআই হিটম্যাপ তৈরি করা হবে। আশিক চৌধুরীর ভাষায়, “এতদিন বিনিয়োগ প্রচারে সক্রিয়তার ঘাটতি ছিল, এবার তা কাটিয়ে উঠতে চাই।” ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় ওই হিটম্যাপ, যা ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য রূপরেখা হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দেন তিনি।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিডা আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন, যেখানে অংশ নেন ৫০টি দেশের ৪১৫ জন প্রতিনিধি। সম্মেলন শেষে আশিক চৌধুরী জানান, ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। তার সাবলীল উপস্থাপনা ও কৌশলী উপস্থাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা কুড়ায় এবং গণমাধ্যমে ‘আশিক ম্যাজিক’-এর আলোচনাও শুরু হয়।

তবে বিনিয়োগের সরকারি পরিসংখ্যান ও বাস্তবতা ভিন্ন বার্তা দেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, প্রচারণা যতটা জোরালো, প্রকৃত বিনিয়োগের অগ্রগতি ততটা দৃশ্যমান নয়। স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ঘাটতি এখনও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বাধা হয়ে আছে। এক বিনিয়োগকারী একজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পারেন, রাজনৈতিক সরকারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত না হলে বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এগিয়ে আসবেন না।

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি, কারণ স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগে উৎসাহী নন। সুদের হার ১৫ শতাংশের বেশি, জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয় প্রতিযোগিতামূলক নয় এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তো আছেই।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “বিডার বর্তমান চেয়ারম্যান তরুণ ও উদ্যমী, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাও আছে। তবে তার একার পক্ষে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় ছাড়া বিনিয়োগে টেকসই পরিবর্তন আনা যাবে না।” তিনি যোগ করেন, যদি একটি বড় বিনিয়োগকারী ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যেতেন, তাহলে তা অন্যদের টানতো। কিন্তু অতীতে আমাদের এমন রেকর্ড নেই। ফলে ব্যতিক্রমী ও সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।

বিশ্লেষকদের মতে, আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিনিয়োগ প্রচারের যে ‘ম্যাজিক’ তৈরি হয়েছে, তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত না হলে দীর্ঘমেয়াদে কোনো টেকসই সুফল পাওয়া যাবে না।

বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন দায়িত্ব নেয়ার পর বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে একের পর এক উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে তাকে। দায়িত্ব নেয়ার চারদিন পরই, ১২ সেপ্টেম্বর তিনি বৈঠক করেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তখনই তিনি জানান, বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতাগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

৩০ অক্টোবর ‘স্টেট অব ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির অঙ্গীকার করেন এবং একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল ব্যবসা পরিচালনার সহজতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

১৮ নভেম্বর বিডা ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে তথ্যভিত্তিক ‘এফডিআই হিটম্যাপ’ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে সম্ভাবনাময় দেশ, খাত ও কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।

১৯ জানুয়ারি হিটম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে আশিক চৌধুরী জানান, এটি শুধু একটি পরিকল্পনা নয়, বরং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ প্রচেষ্টার রূপরেখা।

২৩ মার্চ বিনিয়োগ সম্মেলনের ঘোষণা দেন তিনি, যেখানে ৫০টি দেশের ৪১৫ প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলন শেষে ৩,১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া যায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসিত হয় তার সাবলীল উপস্থাপনা। অনেকেই একে ‘আশিক ম্যাজিক’ বলে অভিহিত করেন।

তবে সরকারি বিনিয়োগ পরিসংখ্যান বলছে, এখনো সেই ‘ম্যাজিক’ এর বাস্তব প্রতিফলন দৃশ্যমান নয়। স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের অনীহা এবং বিদেশী কূটনীতিকদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী বার্তা দেখা যাচ্ছে না। এক রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অনুযায়ী, “রাজনৈতিক সরকার ছাড়া কোনো বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবে না।

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ জানান, দেশীয় বিনিয়োগকারীরাই যেখানে আগ্রহী নন, সেখানে বিদেশীরা কিভাবে এগিয়ে আসবেন? ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে উচ্চ ব্যয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিনিয়োগের প্রধান বাধা হয়ে আছে।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আশিক চৌধুরীর উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও, এসব বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় ও মাঠ পর্যায়ে কাজ জরুরি। বিডা বা বেজা এককভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না।

৮ মে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চর পরিদর্শনের সময় আশিক চৌধুরী জানান, ডেনমার্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এপি মোলার মায়ের্স্ক বন্দরে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যদিও এই ঘোষণা আশাব্যঞ্জক, বাস্তবায়নের পথে অনেক সময় ও চ্যালেঞ্জ পেরোতে হবে।

বিডার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১,১১৩টি প্রকল্পে মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ছিল ৮৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৮১৪টি প্রকল্পে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৭ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ, বিনিয়োগ নিবন্ধনে উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে।

এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, একজন ব্যক্তি চেষ্টা করলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্থিতিশীলতা না থাকলে আস্থা অর্জন কঠিন। বিনিয়োগকারীরা এখনো সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তিত।

অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু কাঠামো তৈরি সময়সাপেক্ষ। লজিস্টিক উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছেন নির্বাহী চেয়ারম্যান, যা আগে থেকেই প্রয়োজন ছিল।’

অর্থনীতিবিদদের মতে, দীর্ঘদিনের বিনিয়োগ চ্যালেঞ্জ রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। বিদেশীরা বিনিয়োগের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নীতি ধারাবাহিকতা ও কাঠামোগত নিশ্চয়তা চান। বর্তমানে দেশী-বিদেশী উভয় বিনিয়োগেই অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতিবাচক উদ্যোগ নিচ্ছেন, তবে বাস্তব প্রতিফলন সময়সাপেক্ষ এবং বহু পক্ষের সমন্বয় ছাড়া সম্ভব নয়। তার কার্যক্রম নতুন গতিপথের ইঙ্গিত দিলেও সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিবেশকে টেকসইভাবে বদলাতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আমলাতান্ত্রিক সংস্কার এবং কাঠামোগত উন্নয়ন অপরিহার্য।