ইউনিলিভারের কালুরঘাট কারখানা পরিদর্শনে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদল

প্রতিবেদক: ইউনিলিভার বাংলাদেশের (ইউবিএল) চট্টগ্রামের কালুরঘাট কারখানা পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক ট্রেড এনভয় ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন ডিবিই এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। আজ শনিবার পরিদর্শনকালে তাঁদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

সফরে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জিনিয়া হক, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস পরিচালক শামিমা আক্তার এবং কালুরঘাট কারখানার প্রধান এস এম তারেক সাইফুল্লাহ। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধিদল কারখানার উৎপাদন লাইন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেকসই উৎপাদনপ্রক্রিয়া নিয়ে মতবিনিময় করেন। কারখানার প্রধান এস এম তারেক সাইফুল্লাহ তাঁদের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম পরিচয় করিয়ে দেন এবং কালুরঘাট কারখানাকে আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরের অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন। সফর শেষে প্রতিনিধিদল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন ডিবিই বলেন, ‘ইউনিলিভারের কালুরঘাট কারখানা পরিদর্শন আমার জন্য সমৃদ্ধ ও অনুপ্রেরণাদায়ী অভিজ্ঞতা। ব্রিটিশ ঐতিহ্যের একটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে, তা দুই দেশের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের এক সুন্দর দৃষ্টান্ত।’

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘ইউনিলিভারের মতো দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ করা এবং স্থানীয়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এমডি জাভেদ আখতার বলেন, ‘ছয় দশকের বেশি সময় ধরে কালুরঘাট কারখানাটি ইউনিলিভার বাংলাদেশের উন্নয়ন, উদ্ভাবন আর পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে কাজ করছে। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক ট্রেড এনভয় ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন ডিবিই এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে আমাদের কারখানা পরিদর্শন করেছেন।’

১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে প্রথম সাবান উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ইউনিলিভারের বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়। কর্ণফুলী নদীর তীরে ১৫ একর জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা এ কারখানা ২০১৪ সাল থেকে ‘জিরো ওয়েস্ট টু ল্যান্ডফিল’ সাফল্য ধরে রেখেছে। ২০২১ সালে কারখানাটি শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সার্টিফিকেশন অর্জন করে।