ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তথ্য সিআইবিতে পাঠাতে নির্দেশ

প্রতিবেদক: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে যেসব গ্রাহককে শনাক্ত ও চূড়ান্ত করা হবে, তাদের তথ্য সিআইবিতে হিসেবে আপলোড করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে যে চিঠি দেওয়া হবে, তার অনুলিপি সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া তিন মাস পরপর ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন তৈরি করে তৃতীয় মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং সিআইবিতে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে এসব তথ্য ও সংশ্লিষ্ট দলিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।

চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের এনবিএফআই খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৩৫.৩২ শতাংশ। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩.২৫ শতাংশ।

এদিকে, গ্রাহকদের আমানতের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ—এমন অন্তত ২০টি এনবিএফআইয়ের নিবন্ধন সনদ (লাইসেন্স) বাতিলের প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সংকটে থাকা এবং অত্যধিক খেলাপি ঋণ ও দুর্বল জামানতের ভিত্তিতে পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক খাতে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে না পারা এবং কার্যকর পুনর্গঠন পরিকল্পনার অভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।