
প্রতিবেদক: চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বড় ধাক্কা খেয়েছে। এই সময় ইপিএস কমে গেলেও শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) উল্টো বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে পাওয়া তথ্যমতে, বিক্রি কমে যাওয়া, মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং ঢাকার কারখানা সরানোর কারণে সম্পদমূল্যে পতন—এসব কারণেই বিএটিবিসির সামগ্রিক আয় কমেছে।
২০২৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা, যেখানে আগের বছর এই সময় এটি ছিল ৯ টাকা ৪৮ পয়সা। জানুয়ারি-জুন ২০২৫ পর্যন্ত ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৬৯ পয়সা—যা আগের বছরের একই সময়ের (১৭ টাকা ১৪ পয়সা) তুলনায় অনেক কম।
তবে এ সময়ে শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এটি ছিল ঋণাত্মক ২০ টাকা ৮৭ পয়সা। কোম্পানিটি জানিয়েছে, রপ্তানি আয় বাড়া এবং নগদ অর্থপ্রবাহ ব্যয় কমে যাওয়ার কারণেই এই উন্নতি হয়েছে।
একইসাথে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো—চলতি বছরের জুন মাসে প্রায় ৬০ বছর পর বিএটিবিসি তাদের ঢাকার মহাখালীর কারখানা সাভারের আশুলিয়ায় স্থানান্তর করা শুরু করেছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ ২০২৪ সালের শেষে কোম্পানিটি ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৩০ টাকা করে।