
প্রতিবেদক: স্থায়ী কর্মকর্তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি কর্তৃক ঘোষিত স্পেশাল কম্পেটিটিভ অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর পরিবর্তে যোগ্য কর্মকর্তাদের জন্য প্রমোশন পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ফয়েজুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা বাতিল করে প্রমোশন পরীক্ষার আয়োজন নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে কেন এ সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন প্রমোশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে না—তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
আদেশটি আসে ইসলামী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা দাখিল করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে। রিট আবেদনকারীরা যুক্তি দেন, এই বিশেষ পরীক্ষা মূলত অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের প্রান্তিক করার একটি প্রহসনমূলক উদ্যোগ। ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন বলেন, আদালত তাদের রিটের পক্ষে আদেশ দিয়েছেন, যা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের জন্য একটি সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে।
তবে আদালতের আদেশের কয়েক ঘণ্টা পরই ইসলামী ব্যাংক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএইচআরও ড. এম কামাল উদ্দিন জাসিম স্বাক্ষরিত ওই স্মারকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির স্বার্থে আসন্ন পরীক্ষা পুনঃনির্ধারণ করা হলো এবং নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ এক সার্কুলার জারি করেছিল, যেখানে সহকারী কর্মকর্তা থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পদ পর্যন্ত বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীরা জানান, ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তারা এর আগেও প্রতিষ্ঠিত নিয়মে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রমোশন পেয়েছেন। তাদের অনেকেই ব্যাংকিং ডিপ্লোমাসহ ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ফলে নতুন করে বিশেষ পরীক্ষা চালু করা অপ্রয়োজনীয় ও বৈষম্যমূলক। তাদের অভিযোগ, বর্তমান ব্যবস্থাপনা অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সরানোর অজুহাত হিসেবেই এ উদ্যোগ নিয়েছিল।