
প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় দুই মাস পর আবারও ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে আগের তুলনায় পণ্যের দাম বেড়েছে, একই সঙ্গে ট্রাকের পেছনে ভোক্তাদের ভিড়ও কমেছে।
টিসিবির এই ভ্রাম্যমাণ ‘ট্রাকসেল’-এর আওতায় রাজধানীসহ সারা দেশে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা, চিনির দাম কেজিপ্রতি ৮৫ টাকা এবং ডালের দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অথচ বাজারে বর্তমানে এই তিনটি পণ্যের খুচরা দাম যথাক্রমে—তেল ১৯০ টাকা/লিটার, চিনি ১২০ টাকা/কেজি এবং ডাল ১১৫–১২০ টাকা/কেজি।প্রতিটি ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি ডাল কিনতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরান ঢাকার সুরিটোলা এলাকায় দেখা যায়, টিসিবির একটি ট্রাক থেকে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ট্রাকসেলের দায়িত্বে থাকা হাজী মুক্তার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. সেন্টু মিয়া জানান, দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে এবং প্রায় ৪০০ জনকে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি চলবে।
মো. সেন্টু মিয়া বলেন, ‘‘সবশেষ ২৭ মার্চ, ঈদুল ফিতরের আগে, ট্রাকসেল হয়েছিল। তখন প্রচণ্ড ভিড় ছিল। রোজার সময় চার–পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিতে হতো। এখন সময় কম লাগছে, দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
লাইনে দীর্ঘসময় অপেক্ষা শেষে সুরিটোলার বাসিন্দা শাহীদা আক্তার বলেন, ‘‘আগে জিনিসপত্র বেশি পাওয়া যেত। দামও কম ছিল। দাম এতটা না বাড়ালে ভালো হতো।
উল্লেখ্য, গত রমজানের তুলনায় এবার ট্রাকসেলে তেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৫ টাকা, ডালের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা এবং চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে।
এ মূল্যবৃদ্ধিই ভোক্তাদের ভিড় কমে যাওয়ার প্রধান কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।