
প্রতিবেদক: শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে এ পর্যন্ত অনেক শিল্পকারখানার শ্রমিকই বেতন-বোনাস পাননি। যেসব কারখানা বেতন দিয়েছে, তাদের অনেকেই আবার অর্ধেক করে পরিশোধ করেছে। এমনকি কিছু কারখানায় এখনও এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদ বোনাস ৩১ মে’র মধ্যে এবং মে মাসের বেতন ৩ জুনের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, তারা যেসব ৯ হাজার ৬৮৩টি কারখানা তদারকি করছে, তার মধ্যে ১ হাজার ৮৭৪টি এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২ হাজার ৪৫৭টি কারখানার ৪৬৪টি এখনো বোনাস পরিশোধ করেনি। এই ৪৬৪টি কারখানার মধ্যে বিজিএমইএ সদস্য ২৭৯টি, বিকেএমইএ’র ১৩০টি এবং বিটিএমএ’র ৫৫টি কারখানা রয়েছে।
এছাড়া মে মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেনি প্রায় ৬০ শতাংশ শিল্পকারখানা। এপ্রিল মাসের বেতন বাকি রয়েছে ৩৭৫টি কারখানায়। শুধু তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতেই মে মাসের বেতন বাকি ৭২ শতাংশ কারখানায়। বিজিএমইএ’র দাবি অনুযায়ী, তাদের সদস্যভুক্ত সচল কারখানার প্রায় ৯৬ শতাংশ বোনাস পরিশোধ করেছে, তবে মে মাসের বেতন দিয়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশ।
ঢাকার আশপাশের এলাকা সাভার ও ধামরাইয়ের ৩২টি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই, বেতন ও বোনাস নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও ১৪টি কারখানায় এখনো বেতন-বোনাস বকেয়া রয়েছে। এই কারখানাগুলোর মধ্যে অধিকাংশই বিকেএমইএর সদস্য।
শ্রমিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতি ঈদের আগেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। শ্রমিকরা যদি তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে না পান, তাহলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যায়বিচারবিরোধী বলে মন্তব্য করেন শ্রমিক নেতারা।