ঈদে নতুন নোটের চাহিদা থাকলেও বাজারে ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রতিবেদক: এবারের ঈদে নতুন নোট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এপ্রিলের শেষ নাগাদ এসব নতুন নোট বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের চাহিদা থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার তা ছাড়ছে না। কারণ, জুলাই আন্দোলনের ছবি সংযুক্ত নতুন নোটের প্রস্তুতি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই আপাতত বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নতুন টাকা বাজারে আনা হচ্ছে না। তবে এই নোটগুলো নষ্ট না করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পূর্ববর্তী সরকারের ছাপানো অতিরিক্ত টাকাগুলোর অবশিষ্ট অংশও বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। এগুলো আপাতত সংরক্ষণে থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর জন্য একটি ব্রিটিশ এবং একটি সুইস কোম্পানির সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।

চলতি মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে বলে জানিয়েছেন গভর্নর। ২০২০ সালের জুলাই মাসে একক মাসে সর্বোচ্চ আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর চলতি মাসের ১৯ দিনেই এসেছে সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার।

গভর্নর বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা বা অর্থপাচার বন্ধের কারণে হোক, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রেমিট্যান্স আসছে। আশা করা হচ্ছে, এই মাসের রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

লন্ডন সফরকালে গভর্নর এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ১৫-২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে এবং এস আলম গ্রুপের সম্পদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার, সংশ্লিষ্ট এনজিও ও লিগ্যাল ফার্মগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।

গভর্নরের মতে, অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে। আইএমএফের বিপিএম-সিক্স অনুযায়ী, ২০ মার্চ পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলার।

বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নতুন নোট ঈদের আগে আসছে না, তবে এপ্রিলের শেষ নাগাদ বাজারে আসতে পারে। রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আর অর্থপাচার রোধে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।