
অনলাইন ডেক্স: রমজান মাস ও ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়া ৯টি ভোগ্যপণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং খেজুর। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের আমদানিতে গড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যার মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের আমদানিতে সর্বাধিক বৃদ্ধি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্য আমদানির এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এবং পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংক–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণ এবং বিলম্বে আমদানি মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার ফলে রোজার আগে এসব পণ্যের আমদানি বেড়েছে।
গত ১১ নভেম্বর ৯টি ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে আরও ২টি পণ্য আমদানিতে বিলম্বে মূল্য পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়। রমজানের আগে পণ্য মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সুবিধা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ টন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টন। ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টন। এছাড়া, ছোলা আমদানি ৯৭ হাজার ৫৫৫ টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ টন।
মোটামুটিভাবে, মটর ডালের আমদানি ৮৫ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ টন হয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও, এই চার মাসে পণ্যটির আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ টন। রসুনের আমদানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৬১ হাজার ৩৮১ টন এবং আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে ৫২ হাজার ৫১৫ টন হয়েছে।