
প্রতিবেদক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। একসঙ্গে ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এনবিআরের কর প্রশাসন থেকে জারি করা এক আদেশে জানানো হয়, বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের অবিলম্বে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একসঙ্গে এত সংখ্যক কর কর্মকর্তাকে বদলির ঘটনা নজিরবিহীন। এনবিআরের ভেতরের সূত্র জানায়, গত মে ও জুনে আন্দোলনের কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও গত জুলাই থেকেই ধাপে ধাপে কর্মকর্তাদের বদলি শুরু হয়েছিল।
আজ যাঁরা বদলি হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন ঢাকার বিসিএস (কর) একাডেমির পরিচালক হাফিজ আল আসাদ, শেখ শামীম বুলবুল, ছায়িদুজ্জামান ভুঞা, বেগম হাসিনা আক্তার খান, মর্তুজা শরিফুল ইসলাম, মো. নাসেরুজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান, মো. নাঈমুর রসুল, ফখরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহ আলমসহ আরও অনেকে। তাঁদের ঢাকাসহ নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, দিনাজপুর ও রাজশাহীর বিভিন্ন কর অঞ্চল, কর আপিল অঞ্চল, এনবিআরের আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট, সিআইসি, বৃহৎ করদাতা ইউনিট ও কর পরিদর্শন অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবারও বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেদিন ৯ কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে আছেন অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা ও সুলতানা হাবীব, যুগ্ম কর কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন খান ও মামুন মিয়া, সিআইসির পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, মোংলা কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির এবং খুলনার কাস্টমস কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম।
গত দেড় মাসে আন্দোলনের জেরে এনবিআরের সদস্য থেকে শুরু করে প্রহরী পদবির কর্মকর্তা–কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৩৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ এই বড় রদবদলকে সেই ধারাবাহিকতারই অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।