
প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক নীতির পরও ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এমএসএমই) এখনো ঋণ পেতে নানা ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) এক গোলটেবিল বৈঠকে খাতটির অংশীজনরা এমন অভিযোগ তোলেন।
বৈঠকে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন,অর্থায়নের অভাবে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ এমএসএমই উদ্যোক্তার প্রকৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান আরও বাড়াতে এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
তিনি এসব বাধা দূর করে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।
অর্থায়নের সুযোগ নীতি থেকে প্রয়োগ’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। স্থানীয় সরকার বিভাগ, সুইসকন্টাক্ট ও ইনোভিশন কনসাল্টিং এতে সহায়তা করে। বৈঠকে উদ্যোক্তা, ব্যাংকার, নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান বলেন,উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সংকট নিয়ে বহুদিন ধরে আলোচনা হলেও খুব অল্প সমস্যারই সমাধান হয়েছে।
সুইসকন্টাক্টের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রুখেন উদ্দিন আহমদ মত দেন,এমএসএমই খাতের অর্থায়নের সমস্যা দূর করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী—দেশের ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯৯ শতাংশই কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই)।
শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশই এমএসএমই খাতে, যেখানে কর্মরত আছেন ৩ কোটির বেশি মানুষ।জাতীয় অর্থনীতিতে খাতটির অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।