ওএসএস প্ল্যাটফর্মে বিডার সেবা

প্রতিবেদক: আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা সুপারিশ ও ওয়ার্ক পারমিট পেতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওয়ান–স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই এসব সেবার জন্য আবেদন করা যায়। এই প্রতিবেদনে ধাপে ধাপে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য যদি বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চান বা কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অনুমোদন নিতে হয়। এসব অনুমোদনের মধ্যে ভিসা সুপারিশ ও ওয়ার্ক পারমিট অন্যতম। বিডার ওএসএস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসেই এসব সেবার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

শিল্প প্রকল্প নিবন্ধনের জন্য প্রথমে বিডার ওয়ান–স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফর্মে লগইন করতে হবে। এরপর ‘BIDA Registration’ মেনুতে ক্লিক করলে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি আবেদন ফরম স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হবে। নতুন আবেদন করতে হলে ‘New Application’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

আবেদন সাবমিটের আগে পেমেন্ট করতে হবে, যা সিস্টেম থেকেই নির্ধারিত হবে। বিডা আবেদন অনুমোদন করলে ওএসএস ড্যাশবোর্ড থেকে নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ ও ডাউনলোড করা যাবে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শাখা ,লিয়াজোঁ বা প্রতিনিধি অফিস খোলার জন্য বিডার অনুমোদন নিতে পারবেন। এ জন্য ওএসএস প্ল্যাটফর্মে লগইন করে মেনু থেকে আবেদন করতে হবে।

এখানে নতুন অনুমোদন, সময় বৃদ্ধি, পরিবর্তন বা বাতিলের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন জমা দিলে ড্যাশবোর্ডে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখা যাবে এবং অনুমোদনের পর অনুমোদনপত্র ডাউনলোডও করা যাবে।

বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট নিতে হলে ওএসএস প্ল্যাটফর্মে ‘Work Permit’ মেনুতে ক্লিক করতে হবে। এখানে নতুন ওয়ার্ক পারমিট, সময় বৃদ্ধি, সংশোধন বা বাতিলের আবেদন করা যায়।

আবেদনটি যদি অসম্পূর্ণ হয় বা ভুল তথ্য থাকে, তাহলে বিডার পক্ষ থেকে তা বাতিল করা হতে পারে। তবে সব ঠিক থাকলে আবেদনকারী ড্যাশবোর্ড থেকেই স্ট্যাটাস জানতে পারবেন এবং অনুমোদনের পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা সুপারিশ পাওয়ার জন্যও বিডায় আবেদন করতে হয়। ওএসএস অ্যাকাউন্টে লগইন করে ‘Visa Recommendation’ মেনুতে যেতে হবে। এখানে বেসিক ফরম অনুযায়ী একটি আবেদন ফরম স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে।

পাঁচ ধরনের ভিসার সুপারিশ করা যায়—E টাইপ, PI টাইপ, E1 টাইপ, A3 টাইপ এবং On-Arrival ভিসা। আবেদনকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত ভিসা টাইপ নির্বাচন করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন জমা দেওয়ার আগে সেবা ফি দিতে হবে এবং ভিসার ধরন সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। আবেদন সফলভাবে সাবমিট হলে তা ড্যাশবোর্ডে দেখা যাবে এবং পরে অনুমোদিত হলে ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট আবেদনকারীর অ্যাকাউন্ট ও ই-মেইলে পাঠানো হবে।

এই প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করে বিনিয়োগকারীরা বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও কাগজপত্র সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে সময় ও ঝামেলা কমে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও সহজ হয়।