অনলাইন ডেক্স:নোবেলজয়ী ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা কাঠামো এবং পরিচালনা পদের বড় ধরনের পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে ব্যাংকটিতে সরকারের অংশীদারিত্ব ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধ্যাদেশের খসড়ায় এ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। সংশোধনীতে সরকার–নিযুক্ত পরিচালকের সংখ্যা তিনজন থেকে কমিয়ে একজন করার এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগে সরকারের ভূমিকা বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে। নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হলে, সরকারের পরিবর্তে ১২ সদস্যের বোর্ড চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে, যা গ্রামীণ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনকে আরও সুদৃঢ় করবে।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এই প্রস্তাবিত উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়বে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমে সরকারের হস্তক্ষেপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তবে, ২০১১ সালে বয়সসীমার অজুহাতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গ্রাহকদের ভূমিকা বাড়ানো নিশ্চিত করা যাবে।
