চট্টগ্রামে খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ, আজ থেকে কার্যকর

অনলাইন ডেক্স: চট্টগ্রামে আমদানিকারক থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে লিটারপ্রতি ১৬০ টাকায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ভোজ্যতেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজিত এ সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা নির্ধারিত দামের সঙ্গে একমত হন।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে নগরের খাতুনগঞ্জ বাজার পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। সেখানে “ভোজ্যতেল উধাও” থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তারা তেল উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমদানিকারক পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৫৩ টাকায় বিক্রি হবে।ট্রেডার্স পর্যায়ে ১৫৫ টাকা।খুচরা পর্যায়ে ১৬০ টাকা।

এই দাম আজ (মঙ্গলবার) থেকে কার্যকর হবে এবং আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। নির্ধারিত দামের বেশি কেউ বিক্রি করলে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা ও ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

চসিক মেয়র বলেন,রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, কেউ নির্ধারিত দামের বেশি বিক্রি করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন,অন্যান্য মুসলিম দেশে রমজানে পণ্যের দাম কমানো হয়, ভর্তুকি দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু ব্যবসায়ী রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেয়। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন,বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট কাটাতে সবার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেল খুচরায় সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। কেউ চাইলে কম দামে বিক্রি করতে পারে, তবে বেশি দামে বিক্রি করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সিটি মেয়র জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকেও বাজার মনিটরিং করা হবে। অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।