
প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) আসন্ন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন ঘিরে আবারও অতীতের পরিবারতন্ত্র ও প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম নুরুল হক। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রামের সচেতন ব্যবসায়ী সমাজ ও ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (আইবিডব্লিউএফ)। এতে বক্তব্য দেন এস এম নুরুল হক, আইবিডব্লিউএফের সেক্রেটারি শাহজাহান মহিউদ্দিন ও ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব রানা প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ সদস্যদের পুনর্বহাল করে অতীতে চেম্বারকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বার্থে ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এস এম নুরুল হক বলেন, প্রাথমিক ভোটার তালিকা থেকে এ সদস্যরা বাদ পড়লেও বানোয়াট কাগজপত্রের মাধ্যমে আপিল করে তাদের ভোটার করা হয়েছে। এতে চেম্বারের এক সাবেক সভাপতি সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৬ হাজার ৭৮০ জন—এর মধ্যে সাধারণ সদস্য ৪ হাজার ১ জন, সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন, ট্রেড গ্রুপ প্রতিনিধি ১০ জন ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি ৫ জন।
চেম্বারের ইতিহাসে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ প্রতিনিধিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন বিতর্ক রয়েছে। ২০০৮-০৯ মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠরা চেম্বারের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। সর্বশেষ সরাসরি ভোট হয় ২০১৩ সালে। এরপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিনা ভোটে লতিফ পরিবারের প্রভাব বজায় থাকে।
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চেম্বারের প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চারটি টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও চারটি ট্রেড গ্রুপকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের এক পক্ষ অভিযোগ তোলে, অকার্যকর ঘোষণার কোনো যথাযথ ভিত্তি নেই। ফলে এসব সংগঠন আপিল করে পুনর্বহালের সুযোগ পায়।
চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক ও চেম্বারের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম বলেন,গ্রুপ দুটি আপিল বোর্ডে আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।