চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে প্রাথমিক যাচাইয়ে ৩৪ জনের মনোনয়ন বাতিল

প্রতিবেদক: শতবর্ষী চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক পদে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক মনোনয়ন যাচাই–বাছাই শেষে ৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন বাদ পড়েছেন ঋণখেলাপি ও ভ্যাট রিটার্ন না থাকার কারণে। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক প্রার্থীই প্রথম ধাপেই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন। এ বছর নির্বাচনী বোর্ড প্রার্থীদের কাছ থেকে কর, ভ্যাট ও শুল্ক পরিশোধের সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল সিআইবি (ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য) প্রতিবেদন জমা দিতে বলে। এসব নথির ঘাটতির কারণেই অধিকাংশ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এসব প্রার্থী আপিল করতে পারবেন এবং ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা।

চেম্বারের সহকারী সচিব মোহাম্মদ তারেক জানান, সাধারণ শ্রেণিতে ৪৭টি, সহযোগী শ্রেণিতে ১৭টি এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপে ৩টি করে মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে টাউন অ্যাসোসিয়েশন থেকে কেউই বৈধতা পাননি। সব মিলিয়ে সাধারণ শ্রেণিতে ২৫টি, সহযোগীতে ৯টি এবং ট্রেড গ্রুপে ৩টি মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। এদিকে আলোচনায় থাকা দলনেতাদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক, বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এস এম নুরুল হক এবং বিএসবিআরএর সভাপতি আমজাদ হোসাইন চৌধুরীর নাম থাকলেও, বৈধ প্রার্থীর তালিকায় আমজাদ হোসাইনের নাম নেই। নির্বাচন বোর্ড জানিয়েছে, তাঁর সিআইবি প্রতিবেদন ইতিবাচক ছিল না এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ জমা দেওয়া হয়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন।

বাতিল হওয়া ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনের সিআইবি প্রতিবেদন ‘ইতিবাচক নয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন অ্যাকর্ড হোল্ডিংসের শাহজাহান মো. মহিউদ্দিন, গ্রিন ওয়ার্ল্ডের মাহবুব রানা, মিল্টন ডেকোরেটরসের সিয়াজদুল আলম চৌধুরী ও ন্যামসান কনটেইনার লিমিটেডের শাহ নেওয়াজ মো. আলী চৌধুরী। এছাড়া আটজনের ভ্যাট রিটার্ন ছিল না এবং আটজন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মূল সনদ জমা দেননি। এদের মধ্যে মার্স শিপিংয়ের মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ, ফোর হুইলারসের মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মনোয়ারা ট্রেডিংয়ের মো. মশিউল আলম ও মেরিডিয়ান ফুডসের এস এম কামাল উল্লেখযোগ্য।

নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম জানিয়েছেন, আপিল প্রক্রিয়া শেষে যদি কোনো শ্রেণিতে প্রার্থী বৈধ না হন, তবে সেসব পদ খালি রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারা এখনো ২৪টি পদ পূর্ণ ধরে নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এ বছর মোট ভোটার রয়েছেন ৬ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য ৪ হাজার ১ জন, সহযোগী সদস্য ২ হাজার ৭৬৪ জন, ট্রেড গ্রুপ প্রতিনিধি ১০ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি ৫ জন।