চট্টগ্রাম বন্দরে অনবোর্ড কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ নিয়ে অচলাবস্থা

অনলাইন ডেক্স: চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি টার্মিনালের ছয় জেটিতে অনবোর্ড কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দুই মাসেও সুরাহা হয়নি। এর ফলে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ ধীরগতিতে চলছে, যা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করছে।

দ্বন্দ্ব নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) বারবার বৈঠক করলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ কারণে ৬ মার্চ নৌ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে চবক সচিব মো. ওমর ফারুক বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বার্থ অপারেটররা প্রতি কনটেইনারে পাঁচ ডলার চার্জ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়।শিপিং এজেন্টরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

বার্থ অপারেটরদের দাবি ২০০৭ সালের পর থেকে চার্জ বাড়ানো হয়নি, অথচ শ্রমিক মজুরি ও অন্যান্য খরচ বেড়েছে।শিপিং এজেন্টদের দাবি ২০১৬ সাল থেকে বার্থ অপারেটররা চার্জ প্রতি বছর ৪% হারে বাড়িয়ে আসছেন।

চার্জ বৃদ্ধির দাবি মানা না হওয়ায় বার্থ অপারেটররা জাহাজে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর শ্রমিক গ্যাং ও ট্রেইলার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে গত সপ্তাহে চারটি জাহাজে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর গতি কমে যায়, ফলে এসব জাহাজকে অতিরিক্ত এক-দুই দিন বেশি সময় জেটিতে থাকতে হয়।

গিয়ার্ড জাহাজ নিজস্ব ক্রেইনসহ আসে, যেখানে বার্থ অপারেটররা দুই গ্যাং শ্রমিক ও বারোটি ট্রেইলার সরবরাহ করেন।

গিয়ারলেস জাহাজ কোনো ক্রেইন থাকে না, ফলে বার্থ অপারেটরদের সরবরাহ করা শ্রমিক ও সরঞ্জামের ওপর নির্ভর করতে হয়।

শিপিং এজেন্টদের অভিযোগ, বার্থ অপারেটররা সম্প্রতি শ্রমিক ও ট্রেইলার সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে এনেছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত রোববার দুই পক্ষের পাঁচজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।