চট্টগ্রাম বন্দরে আটক বিদেশি কাপড়ের চালান,বাড়তি খরচের মুখে আমদানিকারক

অনলাইন ডেক্স: এক মাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান, ঈদের কেনাকাটা শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে আমদানিকারকরা বিদেশি কাপড়ের চালান আনা শুরু করেছেন। চাহিদা থাকায় পাকিস্তানি পণ্যের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, তবে এক সপ্তাহ পার হলেও তা খালাস হয়নি। এই দীর্ঘ আটকের কারণে আমদানিকারককে বাড়তি ব্যয় গুনতে হবে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি জে জামশেদ নামের এক আমদানিকারক পাকিস্তান থেকে আনা একটি চালানের বিল অব এন্ট্রি (বি/এ) দাখিল করেন। বি/এ নাম্বার সি-১৪০৬৬৪-এর এই চালানটি কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আটক করে এবং ২১ জানুয়ারি নমুনা সংগ্রহ করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তবে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারেনি।

চালানে থাকা পণ্যগুলোতে রয়েছে ৭০ কার্টুন থ্রি-পিস, ৩৮৬ পিস সিঙ্গেল টপস, ১০০ পিস ডাবল পিস, ৭২৭ পিস পায়জামা, ১ হাজার ৮৬৭ পিস পাঞ্জাবি, ৩৪ পিস কোটি, ১৫১ জোড়া নারীদের স্যান্ডেল, ৫০ জোড়া পুরুষের স্যান্ডেল, ১৪ পিস নারীদের পার্স ব্যাগ, ৫৪ পিস দোপাট্টা বা ওড়না, এক কার্টুন পুরুষদের প্রার্থনার টুপি এবং দুই কার্টুন হ্যাঙ্গার রয়েছে। মোট ১৫১ কার্টুনের ২ হাজার ৫০২ কেজি ৮১০ গ্রাম পণ্য আটকে থাকায় আমদানিকারককে বাড়তি ডিউটি ফি গুনতে হবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ঈদে বড় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ভারতীয় ও পাকিস্তানি কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকে। এসব কাপড় উচ্চ শুল্ক দিয়ে আমদানি করা হয়, কিন্তু এর পরেও নানা হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এসব কারণে পণ্যের দাম বাড়াতে হয়, যা প্রশাসনের তদন্তের মুখে পড়তে পারে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা জানান, গোপন তথ্য বা অডিট ভিত্তিক চালান আটক করে কায়িক পরীক্ষা করা হয়। তবে এ ধরনের আটকের কারণে পণ্যের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।