চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন সুবিধা কনটেইনার ওঠানো–নামানোর হার ২৬৮% বৃদ্ধি

প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি) বা সাবেক পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল-এ নতুন একটি কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনের পর সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ড নামের এই চত্বরের ব্যবহার শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কনটেইনার খুলে পণ্য সরবরাহের নতুন শেড বা ছাউনি ও কনটেইনার ওঠানো–নামানোর যন্ত্রপাতি ধারাবাহিকভাবে সংযোজন করা হচ্ছে। এতে টার্মিনালটির সক্ষমতা বেড়ে গেছে এবং সেবার আওতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বছরের জুনে এই টার্মিনালটি সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্বে সৌদি আরবের আরএসজিটির হাতে দেওয়া হয়। শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে টার্মিনালটি সম্পূর্ণ সক্ষমভাবে ব্যবহার করা যায়নি। তবে নতুন সুবিধা যুক্ত হওয়ায় কনটেইনার ওঠানো–নামানোর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, টার্মিনালটি শুরুতে শুধুমাত্র জাহাজে রপ্তানি কনটেইনার বোঝাই করত। স্ক্যানার মেশিন বসানোর পর গত মে মাস থেকে আমদানি কনটেইনার নামানোর কাজও শুরু হয়েছে। নতুন সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডের মাধ্যমে একসঙ্গে ৫ হাজার একক কনটেইনার রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আরএসজিটির তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে টার্মিনালে ২৪,৬০৭ একক কনটেইনার ওঠানো–নামানো হয়েছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি। এছাড়া এলসিএল (এক কনটেইনারে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য) ধারণক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে। নতুন শেড যুক্ত হওয়ায় একসঙ্গে ৩৫০ একক এলসিএল কনটেইনার রাখার সুবিধা তৈরি হয়েছে।

টার্মিনালে এখন সনাতন পদ্ধতিতে, অর্থাৎ জাহাজের ক্রেন দিয়ে কনটেইনার ওঠানো–নামানো হচ্ছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী চারটি অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেন আগামী বছরের মার্চে যুক্ত হবে। এর আগে কার্যক্রমের দক্ষতা বাড়াতে আরটিজি ক্রেন ধাপে ধাপে সংযোজন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চারটি ক্রেন যুক্ত হয়েছে এবং আগামী মাসে ব্যবহৃত হবে। দ্বিতীয় ধাপে অক্টোবর থেকে আরও ১০টি আরটিজি যুক্ত হয়ে নভেম্বরে চালু হবে। সবমিলিয়ে আগামী মে মাসের মধ্যে উন্নত যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।

আরএসজিটি চট্টগ্রাম টার্মিনালের বাণিজ্য ও জনসংযোগ প্রধান সৈয়দ আরেফ সরওয়ার বলেন, “আমরা শুধু একটি টার্মিনাল গড়ে তুলছি না, গড়ে তুলছি আস্থা, দক্ষতা এবং বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য ভবিষ্যৎমুখী লজিস্টিকস হাব। দ্রুত বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বমানের সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে টার্মিনালটি।”