
অনলাইন ডেক্স: বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা এবং আদার কেজি ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমদানি করে দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না হওয়া পণ্যগুলোর নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে যথাক্রমে ৭.৩৬ টাকা (পেঁয়াজ) ও ২৩.৫৪ টাকা (আদা)।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমের প্রকাশ্য নিলামে এসব দর প্রস্তাব করা হয়। কাস্টমস নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, ১,১৫,৪৫০ কেজি পেঁয়াজের সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৫৩.১০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৭.৩৬ টাকা, যা সংরক্ষিত মূল্যের মাত্র ১৪%।
অন্যদিকে, ৫৭,৫৬০ কেজি আদার সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১০৬.৭৯ টাকা প্রতি কেজি। তবে নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৩.৫৪ টাকা, যা সংরক্ষিত মূল্যের ২০%।
নিলামে অংশ নেওয়া এক ব্যবসায়ী রাকিব আহমেদ বলেন, “পচনশীল এসব পণ্যের মান ভালো থাকে না। দীর্ঘদিন বন্দরে পড়ে থাকায় গুণগত মান নষ্ট হয়, তাই নিলামে দর কম ওঠে।”
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান জানান, নিলামে অংশগ্রহণকারীরা আদার জন্য নির্ধারিত মূল্যের ৮০% কম এবং পেঁয়াজের জন্য ৮৬% কম দর প্রস্তাব করেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, নিলামে সংরক্ষিত দরের অন্তত ৬০% দর না উঠলে পণ্য হস্তান্তর করা যায় না। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিলাম কমিটি সর্বোচ্চ দর পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না হওয়ায় পণ্যের নষ্ট হওয়ার ঘটনা নতুন নয়।২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বন্দরে পড়ে থাকা ১১১টি কনটেইনারের ফল, মাছ, মাছের খাবার, বিভিন্ন শস্যসহ ২,৩৫০ টন পণ্য পচে যায়। এসব ধ্বংস করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের খরচ হয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।২০২৪ সালের নভেম্বরে আমদানি করা ৪ লাখ কেজি কমলা, মাল্টা, ম্যান্ডারিন ও ড্রাগন ফল খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা পুঁতে ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পচনশীল পণ্যগুলো দ্রুত নিলামে ওঠানো যেত, তাহলে ভালো দর পাওয়া সম্ভব হতো। বন্দরে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার ফলে আমদানিকারকরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়েন, তেমনি পণ্যের অপচয়ও ঘটে। এজন্য দ্রুত নিলামের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।