চাল আমদানির উদ্যোগ ও বাজার পরিস্থিতি

অনলাইন ডেক্স: চলতি মাসে মিয়ানমার, পাকিস্তান এবং ভারত থেকে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার আশা প্রকাশ করেছেন, এ মাসে আমদানি করা চাল দেশের বাজারে যোগ হলে চালের দাম কমবে।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলী ইমাম মজুমদার জানান, এ মাসে অন্তত ১ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল দেশের বাজারে প্রবেশ করবে। এর মধ্যে মিয়ানমার জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে ১ লাখ টন চাল আমদানি চূড়ান্ত হয়েছে।পাকিস্তান ৫০ হাজার টন চাল আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে।ভারত ৫০ হাজার টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।

ধানের মৌসুমেও চালের দাম বাড়তি থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকস্মিক বন্যায় বেশ কিছু জেলায় আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। এ ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শুল্ক প্রত্যাহার করে ব্যবসায়ীদের বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

খাদ্য উপদেষ্টা আরও জানান, বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে:

  • শুল্ক মওকুফ চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার।
  • ওএমএস কার্যক্রম  সরকারি ওএমএস কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
  • টিসিবি সরবরাহ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন চাল টিসিবির মাধ্যমে বিতরণ।
  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল সরবরাহ করা হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল পাওয়া পরিবারগুলো বাজার থেকে চাল কিনবে না, ফলে বাজারের উপর চাপ কমবে এবং দাম সহনীয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মজুতদারি রোধে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ডিসি, এবং ইউএনওদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন।

চাল আমদানির এই উদ্যোগ এবং নিয়ন্ত্রক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।