
প্রতিবেদক: ২০১৬ সাল থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৩ একর জমিতে শুরু হওয়া চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল (সিইআইজেড) নির্মাণ কাজ এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে চীনা ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে বিকল্প বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে চায়।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে এসে সিইআইজেড প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে উন্নয়নকারী হিসেবে নিয়োগ দেয় চীন। দীর্ঘদিন থমকে থাকলেও বর্তমানে প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে এবং প্রাথমিক আলোচনা চলছে চীনের সঙ্গে আরও বিনিয়োগের জন্য।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, আসন্ন চীন সফরে প্রায় ২০০ চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। তারা বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে চাইছেন।
এই সফরের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিইআইজেড প্রকল্পের অগ্রগতি। চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেছেন, “চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল (সিইআইজেড) প্রকল্পে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক মাসে অগ্রগতি হয়েছে এবং আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা আসবে। তিনি আরো জানান, সিইআইজেড অঞ্চলে অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা স্থাপনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
চীনের আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশে বিনিয়োগে, বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে তাদের শিল্পকারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী। চীনা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গেছে, প্রতি দিনই কিছু না কিছু চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এছাড়া, ২০২৫ সালের ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫, যেখানে চীনের বিনিয়োগে আরও অগ্রগতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ এবং বেপজার অধীনে চীনা বিনিয়োগে ১০৭টি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এতে ১.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে, যা বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ১ লাখ ৩৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।