চীনের কাছে সয়াবিন কেনা চার গুণ বাড়ানোর আহ্বান ট্রাম্পের

প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা চার গুণ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। শুল্কযুদ্ধের বিরতি শেষ হওয়ার আগে গত রোববার গভীর রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, চীন বর্তমানে সয়াবিনের ঘাটতিতে আছে এবং তিনি আশা করছেন চীন দ্রুতই আমদানি বাড়াবে। চীন চাইলে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। এসময় তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আগাম ধন্যবাদ জানান।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর সোমবার শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিনের দাম বুসেলপ্রতি ১০.১১ ডলার (২.৩৮%) বেড়েছে। এর আগে দাম স্থিতিশীল ছিল।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সয়াবিন আমদানিকারক দেশ হলো চীন। ২০২৩ সালে দেশটি ১০ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন আমদানি করে, যার এক-চতুর্থাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবং বাকিটা প্রধানত ব্রাজিল থেকে। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী আমদানি চার গুণ বাড়ালে অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আনতে হবে। তবে বেইজিংভিত্তিক এজিরাডার কনসাল্টিং-এর প্রতিষ্ঠাতা জনি শিয়াং মনে করেন, এত বড় মাত্রায় আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।

ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ বিরতির সময়সীমা শেষ হবে ১২ আগস্ট। ট্রাম্প প্রশাসন সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও সয়াবিন আমদানি বৃদ্ধিকে শর্ত করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

প্রথম মেয়াদে স্বাক্ষরিত প্রথম ধাপের বাণিজ্যচুক্তিতে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য, বিশেষত সয়াবিন কেনা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হয়নি। চলতি বছরও চীন আর্জেন্টিনা থেকে সয়ামিল কিনে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন আমদানি নাও বাড়াতে পারে। ট্রিভিয়াম চায়না-এর কৃষি বিশ্লেষক ইভেন রজার্স পে বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সস্তায় সরবরাহ নিশ্চিত করাই চীনের লক্ষ্য।

গত বছর চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ কোটি ২১ লাখ টন এবং ব্রাজিল থেকে ৭ কোটি ৪৬ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প ক্রেতা খুঁজলেও চীনের সমকক্ষ কোনো বাজার নেই। চীনের সম্ভাব্য ক্রয় হ্রাসে মার্কিন কৃষিখাত উদ্বেগে রয়েছে, বিশেষত ফসল তোলার মৌসুম সামনে রেখে।