
প্রতিবেদক: পারফরম্যান্স বা কর্মনৈপুণ্য ভালো হলে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংক, অ-তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সর্বোচ্চ তিন মাসের মূল বেতনের সমান উৎসাহ বোনাস বা উৎসাহ ভাতা পাবেন। এ জন্য নির্ধারিত পাঁচটি সূচকের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান উৎসাহ বোনাস প্রদান নির্দেশিকাকে যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করে তুলতেই নতুন এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করে সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। কীভাবে এসব সূচক পরিমাপ করা হবে, তার একটি নমুনা ছকও দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের প্রকৃতি ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অনুযায়ী গ্রুপভিত্তিক সূচক ও তাদের ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্ধারিত মূল্যায়নে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ৪০ নম্বরের কম পায়, তবে তারা কোনো উৎসাহ বোনাস পাবে না। অবলোপনকৃত ঋণ না থাকলে সে সূচকে শূন্য নম্বর ধরা হবে, তবে অন্যান্য সূচকের নম্বর ১০০-এ রূপান্তর করে মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে। মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪০–৪৯ হলে একটি, ৫০–৫৯ হলে ১.৫টি, ৬০–৬৯ হলে ২টি, ৭০–৭৯ হলে ২.৫টি এবং ৮০ বা তার বেশি হলে সর্বোচ্চ ৩টি উৎসাহ বোনাস দেওয়া হবে। আর্থিক বছরের শেষ মাসের মূল বেতনকে ভিত্তি ধরে প্রতিটি বোনাস হিসাব করা হবে। ফলে সর্বোত্তম পারফরম্যান্সে কর্মীরা তিন মাসের বেতনের সমপরিমাণ ভাতা পাবেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজস্ব পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে উৎসাহ বোনাস প্রদান করতে পারবে। তবে বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশের ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। কোনো তফসিলি ব্যাংক আমানত গ্রহণ কার্যক্রম শুরুর আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মীরা অ-তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্যাটাগরিতে উৎসাহ ভাতা পাবেন। এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত মানদণ্ডে উৎসাহ বোনাস প্রাপ্য না হলেও বিশেষ কোনো সাফল্য থাকলে আবেদন করে বিবেচনার সুযোগ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর চাকরির মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস হলে তিনিও উৎসাহ ভাতা পাবেন। অবসরে যাওয়া কিংবা পদত্যাগ করা কর্মীরাও চাকরিকালের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে এ সুবিধা পাবেন। এমনকি চাকরিচ্যুত বা সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের ক্ষেত্রেও শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।