জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৪.২২ শতাংশে, অর্থনীতিতে ধীরগতির প্রভাব স্পষ্ট

অনলাইন ডেক্স: দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে ধীরগতির প্রভাব আরও স্পষ্ট হলো, কারণ চূড়ান্ত হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪.২২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর আগে সাময়িক হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি ৫.৮২ শতাংশ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সাময়িক প্রবৃদ্ধির তুলনায় ১.৫৬ শতাংশ কমে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪.২২ শতাংশে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা নিরূপণে জনসংখ্যা, কৃষি, শিল্প, জনমিতি, অর্থনীতি, আর্থসামাজিক অবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়। এর মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নির্দেশক।

প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের পর দেখা গেছে, সাময়িক প্রবৃদ্ধির তুলনায় প্রকৃত প্রবৃদ্ধি কমেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার অন্যতম প্রধান কারণ শিল্প খাতের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হ্রাস। দেশে চলমান বৈশ্বিক মন্দা, বিনিয়োগের গতি শ্লথ হওয়া, কাঁচামালের উচ্চ মূল্য এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে শিল্পখাতের উৎপাদন কমে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির এই নিম্নমুখী ধারা অর্থনীতিতে সতর্ক সংকেত দিচ্ছে। এটি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সামগ্রিক অর্থনীতির গতি বাড়াতে বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ, শিল্প উৎপাদনে সহায়তা প্রদান এবং আমদানি খরচ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

তারা আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ, বিনিময় হারের অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা ও অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।

বিবিএস-এর এ প্রতিবেদন নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শিল্প ও কৃষি খাতে নীতিগত সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।