জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তির দাবি বিটিএমএর

প্রতিবেদক: গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। এমনকি দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতাজনিত ক্ষতির অজুহাতে অনেক দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করারও ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।

 বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে এই দাবি জানানো হয়। চিঠিতে বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ উল্লেখ করেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। এতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধ করে বিমা কোম্পানির কাছ থেকে অগ্নিসহ নানা ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছিল। কিন্তু ঘটনার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তিতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩ মার্চ সাধারণ বিমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার দাবি নিয়ে সভা হয়। সেখানে বিমা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ উপস্থাপন করেন। তবে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে ঘটায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় দাবি পরিশোধযোগ্য নয়। এ অবস্থায় মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।

এ কারণে বিটিএমএ সভাপতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দাবি নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। তিনি আরও বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধান কার্যকর করতে হবে।