টানা দরপতনের পর জ্বালানি তেলের দামে ১ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রতিবেদক: টানা চার দিন পতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে অবশেষে সামান্য উত্থান দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহৎ তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার তেলের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে এটি এখনও গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে রয়েছে।

শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি পৌঁছেছে ৬১ দশমিক ১০ ডলারে।

যদিও দিনের হিসেবে দাম বেড়েছে, সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুডের দর কমেছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই কমেছে ৭ শতাংশ। অতিরিক্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও ওপেক ও অংশীদার দেশগুলো উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে—এমন সম্ভাবনার কারণে বাজারে এই পতনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, ওপেক ও তাদের অংশীদাররা নভেম্বরে দৈনিক উৎপাদন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা অক্টোবরের তুলনায় তিন গুণ বেশি। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের হারানো শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষক টনি সিকামোর মনে করেন, উৎপাদন বৃদ্ধি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলে তেলের দাম আবারও কমে যেতে পারে। তার মতে, প্রাথমিকভাবে দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত এবং বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রায় ৫৫ ডলারেও নেমে আসার আশঙ্কা আছে।

এ ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত ধীরগতির কার্যক্রম এবং মৌসুমি কারণে চাহিদা কমে গেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে বলে মনে করছেন শিল্প বিশ্লেষকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) গত বুধবার জানিয়েছে, পরিশোধনাগারের ধীরগতি ও চাহিদা হ্রাসের কারণে গত সপ্তাহে দেশটিতে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেটের মজুত বৃদ্ধি পেয়েছে।