ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক স্থগিত, শেয়ারবাজারে সূচক উর্ধ্বমুখী, তেলের দাম বাড়ল

প্রতিবেদক: বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক স্থগিত করেছে মার্কিন একটি আদালত। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার এশিয়াসহ বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। তবে সোনার দামে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

গতকাল বুধবার  নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত এক আদেশে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা শুল্ক আরোপ করে নিজের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে। সেই যুক্তিতে এসব শুল্ক স্থগিত করা হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে।

এই রায়ের খবর প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়:

যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক ফিউচার্স সূচকে উত্থান হয়েছে।জাপানের নিক্কেই এশিয়া সূচক বেড়েছে ১.৫ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচক বেড়েছে ১ শতাংশ।অন্যান্য এশীয় শেয়ারবাজারেও সূচক কিছুটা বেড়েছে, যদিও উত্থানটি খুব বড় নয়।

ফিউচার্স সূচকের অর্থ হলো—ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সময়ে শেয়ারের লেনদেন হবে নির্ধারিত দরে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা বাজারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

শুল্ক স্থগিতের খবর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

ব্রেন্ট ক্রুড এবং ডব্লিউটিআই ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড—এই দুই ধরণের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.২৫ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ২৩ ডলার কমেছে, যদিও রুপার দাম বেড়েছে ১৫ সেন্ট।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ নিক ম্যারো বলেছেন, আদালতের এই রায় এশিয়ার অর্থনীতির জন্য “মোটামুটি ইতিবাচক”। তাঁর মতে, যেসব দেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে, তারা এই রায়ের সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে।

তবে ম্যারো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেসব দেশ গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল—যেমন দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান, তাদের জন্য শুল্কের ঝুঁকি এখনো থেকেই যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “এই রায় ট্রাম্প প্রশাসনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা দূর করেনি; বরং অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”