ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি কমার সম্ভাবনা

প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে আগামী দশকে দেশটির আর্থিক ঘাটতি প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার কমতে পারে। সিবিওর হিসাব অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত শুল্ক রাজস্ব প্রাথমিক ঘাটতি ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার কমাবে। পাশাপাশি সুদ প্রদানের দায় কমায় মোট ঘাটতি কমবে চার ট্রিলিয়ন ডলার।

ট্রাম্প প্রশাসনের ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্টের কারণে ভবিষ্যতে সরকারি ঋণ ৪.১ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে।শুল্ক রাজস্ব বৃদ্ধির কারণে ঋণের প্রভাব কিছুটা প্রশমিত হবে।যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ–জিডিপির অনুপাত ইতিমধ্যে ১০০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা ট্রেজারি বন্ডের আকর্ষণ কমিয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, শুল্ক নীতি অর্থনীতির আকার ছোট করতে পারে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে চাপ সৃষ্টি করবে।চলতি বছরে শুল্ক রাজস্ব প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার (২০ হাজার কোটি ডলার) হওয়া প্রত্যাশিত, যা গত পাঁচ বছরের গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।

আগামী ১০ বছরে শুল্ক থেকে আয় হতে পারে প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার, যদিও অর্থমন্ত্রীর অনুমান অনুযায়ী এটি বাস্তবতার তুলনায় রক্ষণশীল হিসাব।এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ও ফিচ শুল্ক রাজস্ব বৃদ্ধিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের মান ধরে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেছে।

তবে, তারা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতি আবারও ২০২৬ ও ২০২৭ সালে বাড়তে পারে।কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, শুল্কের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে অতিরঞ্জিত হতে পারে।

মর্নিংস্টারের টমাস টরগারসন সতর্ক করেছেন, সাময়িক রাজস্ব বৃদ্ধি সবসময় ধরে রাখা যাবে না; শুল্ক হার স্থিতিশীল হলে রপ্তানিকারীরা অন্য বাজারের দিকে ঝুঁকতে পারে।