
প্রতিবেদক: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর আগে গত বছরের ১১ আগস্ট সর্বোচ্চ ২ হাজার ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচকও এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৩২ পয়েন্টে। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরের পর এটিই সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান।
বাজারে সর্বোচ্চ লেনদেনে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক ও ওষুধ খাত।
মোট লেনদেন হয়েছে ২১৯ কোটি টাকা (ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬%)। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক শীর্ষে ছিল, এককভাবে ৭০ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংক, যার লেনদেন ৩১ কোটি টাকা।
সম্মিলিত লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা (মোট লেনদেনের ১২%)। এর মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশন শীর্ষে ছিল, এককভাবে প্রায় ৫১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এর ফলে লেনদেন ও সূচক উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী। যদিও কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ইনভেস্টইট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরান হাসান বলেন, বেশ কয়েক বছর পর বাজারে এমন গতি ফিরে এসেছে। এর পেছনে প্রধান ভূমিকা সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদ হারের নিম্নগতি। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমান প্রবণতা মধ্য মেয়াদে টেকসই মনে হচ্ছে। তবে মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে মাঝে মাঝে বাজারে সাময়িক নিম্নগতি দেখা দিতে পারে। কিন্তু ভালো শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অব্যাহত থাকলে বাজার আরও স্থিতিশীল হবে।