ডিজিটাল ওয়ালেটে নতুন নাম ‘পাঠাও পে

প্রতিবেদক: ডিজিটাল ফিন্যান্সে নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে ‘পাঠাও পে’। ৮ জুলাই ২০২৫ থেকে চালু হওয়া এই আধুনিক ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই টাকা ট্রান্সফার, গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ‘ইয়োর ইউনিভার্স, ইয়োর ওয়ে’ স্লোগানে পাঠাও পে ইনোভেশন, নিরাপত্তা এবং দৈনন্দিন জীবনধারাকে একত্র করেছে।

পাঠাও পে দিয়ে এখন খাবার অর্ডার, রাইড নেওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগ করা বা কাউকে টাকা পাঠানো যাবে আরও সহজে। এতে যুক্ত হয়েছে কিছু আকর্ষণীয় ফিচার, যেমন—‘পে ট্যাগ’ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ না করেই টাকা গ্রহণ করা, ‘স্প্লিট পে’ দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগাভাগি, ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ দিয়ে একসঙ্গে অনেককে টাকা পাঠানো এবং ‘অটো পে’ ফিচারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট সুবিধা।

অ্যাপ থেকেই মোবাইল রিচার্জ করা যাবে এবং খুব সহজেই পাঠাও পে-তে টাকা অ্যাড করা যাবে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড (ভিসা, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স) বা নগদের মাধ্যমে। আরও চমকপ্রদ সুবিধা হিসেবে চালু হয়েছে ‘পাঠাও পে কার্ড’, যা মাস্টারকার্ড দ্বারা সমর্থিত এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ইস্যু হচ্ছে। এই কার্ড মাল্টি-কারেন্সি সুবিধাসহ পাওয়া যাবে তিনটি ইউনিক ডিজাইনে—স্টারলিট হরিজন, পার্পল হেজ ও সানশাইন বিচ। এতে রয়েছে রিয়েল-টাইম ব্যালেন্স সিঙ্কিং, ডুয়াল কারেন্সি সাপোর্ট, NFC ট্যাপ অ্যান্ড পে সুবিধা এবং সব মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে বিনা খরচে টাকা তোলার সুযোগ। সঠিকভাবে পাসপোর্ট এনডোর্সড থাকলে, এই কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেনও সম্ভব।

লঞ্চ উপলক্ষে পাঠাও পে ইউজারদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক অফার। পাঠাও ফুডে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা, পাঠাও কার রাইডে ১,০০০ টাকা, বাইকে ৫০০ টাকা এবং পার্সেলে ৫০০ টাকা—মোট ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে। শুধু পাঠাও পে ব্যবহার করলেই এই সুবিধা মিলবে, কোনো বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই।

পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও পে ডিজিটাল অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণের একটি সহজ এবং নিরাপদ মাধ্যম। নিজের প্রয়োজনমতো যেকোনো সময় ফান্ড অ্যাকসেস, ট্রানজেকশন এবং ম্যানেজ করা যাবে সহজেই।” তিনি আরও বলেন, এটি শুধু একটি ওয়ালেট নয়, বরং এটি গ্রাহকের নিজের তৈরি একটি ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্স।

পাঠাও ২০১৫ সাল থেকে রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখো মানুষের জীবনে ডিজিটাল সুবিধা এনে দিয়েছে। বর্তমানে ১০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ চালক ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ লাখ মার্চেন্ট এবং হাজারো রেস্টুরেন্টকে নিয়ে গড়ে উঠেছে পাঠাও-এর শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে, এটি তৈরি করেছে ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ।

আপনিও পাঠাও পে-তে সাইন আপ করুন, আর উপভোগ করুন সহজ, স্মার্ট ও নিরাপদ ডিজিটাল ফিন্যান্সের অভিজ্ঞতা।