ঢাকার খুচরা বাজারে ডিম–সবজির দাম চড়া

প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে ডিম ও সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় এবং ডজনপ্রতি ১৫০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে দাম বেশি থাকায় তাঁদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ডিমের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির দামও এখন বেশ চড়া। কাঁচা পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।

গতকাল বুধবার কারওয়ান বাজার, জগন্নাথপুর বাজার ও জোয়ার সাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে—বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পটল ৮০–১০০ টাকা, টমেটো ১৫০–১৮০, করলা ১০০–১২০, চিচিঙ্গা ৮০ এবং শসা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও মুলাও বাজারে এসেছে। একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় এবং মুলা ৭০–৮০ টাকায়।

কাঁচা মরিচের দামও হঠাৎ বেড়েছে। কয়েক দিন আগে যেখানে কেজিপ্রতি ১৫০–১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, এখন সেখানে দাম দাঁড়িয়েছে ২০০–৩২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি পিস চালকুমড়া ৭০ টাকা, লাউ ১০০, কেজিপ্রতি মিষ্টি কুমড়া ৪০, বেগুন মানভেদে ১০০–১৮০, কাঁকরোল ১০০, কচুর মুখি ৮০, ঢ্যাঁড়স ১০০ এবং কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাতাওয়ালা শাকের মধ্যে পুঁইশাক এক আঁটি ৪০ টাকা, ডাঁটাশাক ৩০ টাকা এবং কচু ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গাজর কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা, আলু মানভেদে ২৫–৩৫ টাকা এবং এক হালি লেবুর দাম আকারভেদে ৩০–৬০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা হৃদয় আহমেদ বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কম। তাই দাম একটু বেশি। শীত এলে দাম কমে যাবে। এখানে আসলে কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই, সরকারও খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মুকসিদুল হক বলেন, পটল ও করলা কিনলাম। দাম তুলনামূলক বেশি মনে হয়েছে। বিক্রেতারা বৃষ্টি–বন্যাসহ নানা কারণ বলছেন।

ডিমের দাম বেশি হওয়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আড়তদারেরা দাম বেশি রাখলে আমরা কী করব? বেশি দামে কিনে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এতে কিছু করার নেই।