
প্রতিবেদক: টানা দুই দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বৃষ্টির কারণে শাকসবজি, মাছ ও অন্যান্য নিত্যপণ্য সরবরাহেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে মুরগি, মাছ, কাঁচা মরিচসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর কারণে দুই দিন ধরে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে, যদিও আগামী রোববার থেকে বৃষ্টিপাত আবার বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
ঢাকায় মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে বুধবারও অব্যাহত রয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আব্বাস আকন্দ জানান, বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে এবং পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতারাও বাজারে কম আসছেন, যার ফলে অনেকেই ছোট দোকান বা ভ্যান থেকে সবজি কিনছেন, যেখানে দাম একটু বেশি হয়।
বাজারে ক্রেতা কম থাকার কথা জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী, যিনি বৃষ্টির মধ্যেও বাড়ির প্রয়োজন মেটাতে সবজি কিনতে বাজারে এসেছেন।
বৃষ্টির প্রভাবে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। যেমন, কাঁচা মরিচের দাম গত দুই দিনের মধ্যে প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকায় উঠেছে। বেগুনের দামও ৯০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সোনালি মুরগির দাম ২৬০-৩০০ থেকে ২৮০-৩১০ টাকা হয়ে গেছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যা এখন প্রতি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা। মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
মাছের দামের ক্ষেত্রেও বৃষ্টির প্রভাব পরেছে। সরবরাহ কম থাকায় রুই, পাঙাশ, শিং, কই, পাবদা মাছের দাম সাধারণের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি হয়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সার্বিকভাবে, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং ক্রেতা কম উপস্থিত থাকায় কিছু নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আশা করা যায়, বৃষ্টির কমতে শুরু করলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।