
প্রতিবেদক: দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা ও অবসায়ন সহজ করতে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন একটি আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। সংসদ না থাকায় এটি ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া ২ মার্চ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হলেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ১৭ মার্চ অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকের পর খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এরপর এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা বা অবসায়নের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই। নতুন আইন কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক—দেউলিয়া বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে।অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।ব্যাংকের শেয়ার, সম্পদ ও দায় তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।এক বা একাধিক ব্রিজ ব্যাংক গঠন করে পরবর্তীতে বিক্রি করতে পারবে।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ দুই কার্যদিবসের জন্য কোনো দুর্বল ব্যাংকের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করতে পারবে। এছাড়া, আংশিক কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা যাবে।
ব্যাংক সংকট মোকাবিলায় ‘ব্যাংক খাত সংকট ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল’ নামে একটি সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর প্রধান হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং সদস্য হিসেবে থাকবেন—বিএসইসি চেয়ারম্যান,অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনজন ডেপুটি গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করলে আদালতের মাধ্যমে অবসায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।স্বেচ্ছায় অবসায়নেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে
ব্যাংক ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হবে।আইন অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সংকটপূর্ণ ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ, অধিগ্রহণ ও পুনঃমূলধনীকরণের আইনি কাঠামো তৈরি করতেই এই অধ্যাদেশ আনা হচ্ছে।