
প্রতিবেদক: গত দেড় বছরে দেশের প্লাস্টিক শিল্প খাতে প্রায় ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে বা বন্ধের পথে রয়েছে। জ্বালানি সংকট, উচ্চ সুদের হারসহ বিভিন্ন নীতিগত ও অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় শিল্পকে বাঁচাতে এবং বিকাশে সহায়তা করতে গৃহস্থালি প্লাস্টিকপণ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে সংগঠনের নিজ কার্যালয়ে ‘বাজেট পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ। এতে সংগঠনের সহসভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শামীম আহমেদ বলেন, “আগে গৃহস্থালি প্লাস্টিকপণ্যে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হোক। এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত, যা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিতেও অবদান রাখছে।”
তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক খেলনা শিল্পেও বর্তমানে মোট শুল্ক ও কর মিলিয়ে প্রায় ৮৭ শতাংশ আদায় করা হচ্ছে, যা অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এই হারও যৌক্তিক পর্যায়ে আনা প্রয়োজন, না হলে খাতটি টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
সংগঠনের সহসভাপতি এনামুল হক বলেন, “গাজীপুরে আমার কারখানায় দিনে ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। অথচ একটি মেশিন গরম হতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। এভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ না থাকলে উৎপাদন ব্যাহত হয়, খরচ বাড়ে, ব্যবসা টেকানো কঠিন হয়ে পড়ে।
সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, নীতি সহায়তা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজেট সংশোধন করা হলে প্লাস্টিক শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে।