
প্রতিবেদক: নিজের প্রয়োজনের পাশাপাশি বিপদ-আপদ সামাল দিতে ঋণ নেওয়া দেশের অনেক পরিবারের জন্য সাধারণ বিষয়। কেউ সংসারের দৈনন্দিন খরচ চালাতে ঋণ নেন, কেউ বাড়ি নির্মাণ বা মেরামত, আবার কেউ সন্তানের শিক্ষা বা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য ঋণ নেন।
গত সোমবার প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এর গবেষণায় উঠে এসেছে, কোন কোন উদ্দেশ্যে বেশি ঋণ নেয় দেশের মানুষ। ৮ হাজার ৬৭টি পরিবারের ওপর ভিত্তি করে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনো উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়েছে।
দৈনন্দিন সংসার চালাতে আয় যথেষ্ট না হওয়ায় ২৯ শতাংশ পরিবার সংসার খরচ মেটাতে ঋণের ওপর নির্ভর করছে।
বড় ধরনের অসুস্থতার সময় চিকিৎসার জন্য ঋণ নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। গবেষণা অনুযায়ী, ঋণগ্রহীতা পরিবারের ১০.৭৫ শতাংশ চিকিৎসার খরচ চালাতে ঋণ নেয়।
নিজের সঞ্চয় দিয়ে অনেকের পক্ষে বাড়ি নির্মাণ বা মেরামত সম্ভব নয়। ১০.১৩ শতাংশ পরিবার এই উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করে।
নিম্ন আয়ের মানুষ মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নগদ ব্যয় মেটাতে ব্যর্থ হলে দোকানে বাকি খেয়ে ঋণ নেন। ৯.২৩ শতাংশ পরিবার এই কারণে ঋণগ্রস্ত।
ছোট ব্যবসা বা শিল্প স্থাপনের জন্য ঋণ নেওয়ার ঘটনা দেখা যায়। গবেষণা অনুযায়ী ৮.৯৬ শতাংশ পরিবার ব্যবসায় বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ঋণ নিয়েছে।
কৃষি খরচ, আগের ঋণ শোধ, শিক্ষা খরচ, বিদেশযাত্রার খরচ, অস্থাবর সম্পত্তি কেনা, কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া, ভাড়া মেটানো, যৌতুক প্রদান, মুঠোফোন কেনা, চাকরির জন্য ঘুষ, বিদ্যুৎ সংযোগ খরচ, চাঁদা বা জবরদস্তি ইত্যাদির জন্যও মানুষ ঋণ গ্রহণ করে।