
প্রতিবেদক: বাংলাদেশে স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)–এর সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৭৪ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি স্মার্টফোন রয়েছে।
স্মার্টফোন ব্যবহারে শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য আছে। শহরের প্রায় ৮০% পরিবারে স্মার্টফোন রয়েছে, যেখানে গ্রামে এই হার ৭১%। অন্যদিকে, ফিচার ফোন ব্যবহারে গ্রাম এগিয়ে—গ্রামে ৭৯% পরিবারে, শহরে ৭২% পরিবারে ফিচার ফোন রয়েছে।
যেসব পরিবারে তরুণ–তরুণী বেশি, সেখানে স্মার্টফোনের ব্যবহারও তুলনামূলক বেশি। বর্তমানে দেশের ৬৪% পরিবারে ইন্টারনেট সংযোগ আছে, যার মধ্যে ৮০% মোবাইল নেটওয়ার্ক নির্ভর। ব্যক্তি পর্যায়ে দেশে প্রায় ৬৮% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়লেও ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। দেশে মাত্র ৫% পরিবারে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রয়েছে। শহরে প্রতি ১০ পরিবারের মধ্যে ১টি, আর গ্রামে প্রতি ৪০ পরিবারের মধ্যে ১টি পরিবারে ল্যাপটপ পাওয়া যায়। আয়বৈষম্যের কারণে ধনী পরিবারে এসব ডিভাইসের ব্যবহার বেশি, দরিদ্র পরিবার পিছিয়ে রয়েছে।
স্মার্টফোন প্রধানত যোগাযোগ, পড়াশোনা, বিনোদন, আর্থিক লেনদেন ও চাকরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষত অর্ধেকের বেশি স্মার্টফোন মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গেমিং স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ। প্রায় ৮০% ব্যবহারকারী ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত।
শিক্ষার্থী ও তরুণেরা অনলাইন ক্লাস, গবেষণা, ই-বুক ও শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়। প্রায় ৫০% ল্যাপটপ এবং ২০% স্মার্টফোন শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং ও সেবা প্রদানের কাজে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার বেশি, আর সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতা গ্রহণে ফিচার ফোন বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।