নগদ ছাপানোতে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ, ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানোর তাগিদ দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রতিবেদক: বাংলাদেশে টাকা ছাপানো ও বিতরণে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মাস্টারকার্ড ও আইসিএমএবি আয়োজিত ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।

গভর্নর বলেন, দেশে নগদ অর্থের চাহিদা প্রতি বছর প্রায় ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চাহিদা মেটাতে গিয়ে টাকা ছাপানো ও বিতরণে বিপুল খরচ হচ্ছে।
এই খরচ কমাতে তিনি নগদ বা মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান **‘নগদ’**কে স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রি করা হবে। কারণ, পোস্ট অফিসের সক্ষমতা নগদ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত নয়। নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়ার জন্য সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

অর্থনৈতিক রূপান্তরে অগ্রগতি বিষয়ে গভর্নর বলেন, “আন্ত-লেনদেন ব্যবস্থার চালুর বিষয়ে গেটস ফাউন্ডেশনের মোজোলুপের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে তারা বাংলাদেশে আসবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের ক্রেডিট ব্যুরো অনুমোদনের কাজ শিগগির শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এছাড়া, নতুন ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ এখন আর্থিক রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে যাত্রা ভবিষ্যতের লক্ষ্য নয়, বরং বর্তমানের জরুরি বাস্তবতা। এই সামিট নীতিনির্ধারক ও বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের একই মঞ্চে এনে কার্যকর রূপরেখা নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”