
প্রতিবেদক: প্রথমবার কর দেওয়ার সময় তরুণ করদাতাদের মধ্যে আনন্দ ও দায়িত্ববোধ দুটোই জন্মায়। প্রতিবছর নতুন যে করদাতারা রিটার্ন দেন, তাঁদের বেশির ভাগই তরুণ। তবে অনেকেই প্রথমবার সঠিকভাবে রিটার্ন পূরণ করতে পারেন না। তাই কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। এই বছর আপনাকে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের বিবরণী এবং প্রয়োজনে সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, তবে নতুন করদাতারা সারা বছরও অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারেন। প্রথমবার রিটার্নে সম্পদ লুকানো ঠিক নয়। আপনার নামে থাকা জমিজমা, নগদ টাকা, আসবাব, ইলেকট্রনিক পণ্য এবং স্বর্ণালংকারসহ সব সম্পদ দেখানো উচিত। বিয়েতে পাওয়া উপহারও বাদ দেবেন না। প্রথমবারই সম্পদ দেখানো বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ পরে হঠাৎ দেখালে কর কর্মকর্তারা উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন।
কৌশলীভাবে কিছু বাড়তি সম্পদ দেখানো যায়। যেমন, আপনার কাছে ২০ ভরি সোনা থাকলে ৫০ ভরি দেখালেন—এটি ভবিষ্যতে নতুন সম্পদ যোগ করলে সমন্বয় করা সহজ হবে। মনে রাখবেন, চার কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদের ওপর কর নেই। একই সঙ্গে খরচ দেখাতেও কিপটেমি করুন। আয়ের সঙ্গে খরচ যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আয় কম অথচ খরচ বেশি দেখালে কর কর্মকর্তারা উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন।
বিলাসী খরচ এড়িয়ে চলা উচিত। ছোট পদের চাকরি করা অবস্থায় বিদেশ ভ্রমণ বা সন্তানের ব্যয়বহুল স্কুলে পড়াশোনার মতো খরচ দেখালে সন্দেহ হতে পারে। এছাড়া জীবনযাত্রায় ধাপে ধাপে পরিবর্তন দেখানো নিরাপদ। হঠাৎ বড় পরিবর্তন রিটার্নে উল্লেখ করলে ঝুঁকি বাড়ে।
প্রথমবার রিটার্ন দিলে কর কর্মকর্তারা সাধারণত বেশি খুঁটিনাটি যাচাই–বাছাই করেন না। তাঁরা মনে করেন নতুন করদাতারা ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি করদাতা হবেন। তাই আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে সততার সঙ্গে রিটার্ন দেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ। সঠিকভাবে রিটার্ন দিলে ভবিষ্যতে ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।