
প্রতিবেদক: পরিবার সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশের নারীদের জন্য একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম। ২০০৯ সালে চালু হওয়া এই সঞ্চয়পত্রে মূলত ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী নারীরা বিনিয়োগ করতে পারেন। পাশাপাশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (নারী ও পুরুষ) এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকও এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ পান। পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে প্রতি মাসে মুনাফা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে, যা অনেকের জন্য নিয়মিত আয় নিশ্চিত করে।
বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে পঞ্চম বছরে মুনাফার হার ১১.৯৩ শতাংশ, আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি হলে তা হয় ১১.৮০ শতাংশ। তবে সরকার ১ জুলাই ২০২৫ থেকে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কিছুটা কমিয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ ক্রয়সীমা একক নামে ৪৫ লাখ টাকা। মূল্যমান হিসেবে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ এবং ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়।
এই সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায় জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাসমূহ, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে। পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ এবং তার বেশি হলে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর (TDS) কাটা হয়। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়ন করলে মুনাফার হার কমে যাবে এবং অতিরিক্ত প্রদেয় অর্থ মূলধন থেকে সমন্বয় করা হবে।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের আরও কিছু সুবিধা রয়েছে। এতে নমিনি নিয়োগ, পরিবর্তন ও বাতিলের সুযোগ থাকে। বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর পর নমিনি চাইলে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ টাকা তুলতে পারেন, আবার চাইলে মাসিক মুনাফা তুলতে পারেন মেয়াদ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত। এসব কারণে পরিবার সঞ্চয়পত্র দীর্ঘদিন ধরে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সঞ্চয় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।