পাওয়েলের মন্তব্যে ডলারের দাম কমেছে, সেপ্টেম্বরে সুদহার কমার সম্ভাবনা বাড়ল

প্রতিবেদক: ফেডারেল রিজার্ভের (Fed) চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্যের প্রভাব বিশ্ববাজারে দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ডলারের দাম কমেছে, যদিও তিনি সেপ্টেম্বরে নীতি সুদহার কমার বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি।

ডলারের প্রতি ইউরো ও ইয়েনের মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার ইনডেক্স, যা ইউরো ও ইয়েনসহ বিশ্বের ছয়টি প্রধান মুদ্রার তুলনায় ডলারের মান নির্ধারণ করে, শুক্রবার ১.১ শতাংশ কমে ৯৭.৫৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ইউরোর মান ১.১৭৩৯ ডলারে এবং জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলার ১৪৬.৬২ হয়েছে।

পাওয়েল বলেন, মার্কিন শ্রমবাজার এখন অদ্ভুত অবস্থায়—কর্মী চাহিদা ও সরবরাহ দুটোই কমেছে। এতে কর্মসংস্থানের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে, যা বাস্তব হলে দ্রুত দেখা দিতে পারে। তিনি এই মন্তব্য করেন ফেডের বার্ষিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের সামনে।

টরন্টো ভিত্তিক করপের প্রধান বাজার কৌশলবিদ কার্ল শামোটা মন্তব্য করেন, “বাজার যা আশা করেছিল, পাওয়েলের বার্তা ততটা পূরণ করতে পারেননি। তবুও ডলারের দাম কমেছে এবং সেপ্টেম্বরে সুদ কমার সম্ভাবনা বাড়ছে।”

সিএমই গ্রুপের ফেডওয়াচ টুলের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ১৬–১৭ তারিখে ফেডের বৈঠকে সুদহার কমার সম্ভাবনা এখন ৯১ শতাংশ। শুক্রবার সকালেই এই সম্ভাবনা ছিল ৭২ শতাংশ। ব্যবসায়ীদের ধারণা, বছরের শেষ নাগাদ মোট ৫৬ ভিত্তি পয়েন্ট সুদ কমতে পারে, যা পূর্বে ৪৮ ভিত্তি পয়েন্ট ধরা হয়েছিল।

জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে কম কর্মসংস্থান হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ধারণা করেছিলেন, সেপ্টেম্বরে নীতি সুদহার কমার সম্ভাবনা বাড়ছে। শুল্কজনিত মূল্যবৃদ্ধি সীমিত হওয়ায় সেই ধারণা আরও জোর পেয়েছে। তবে উৎপাদক মূল্যস্ফীতি বেশি এবং আগস্টে ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল হওয়ায় কিছুটা সতর্কতা রয়েছে।

শ্রমবাজারের তথ্যই এখন নীতি নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শামোটা বলেন, “পাওয়েল মূলত বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিয়ন্ত্রণও ফেডের দায়িত্ব। তাই শ্রমবাজারের পরিবর্তন নীতিনির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখছে।”