
প্রতিবেদক: ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফনের প্রভাবে পাম অয়েলের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত শুক্রবার মালয়েশিয়ার বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগস্ট ডেলিভারির চুক্তিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৮৮ রিঙ্গিত বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। টনপ্রতি নতুন মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯২৭ রিঙ্গিতে (৯২৫ ডলার ৫২ সেন্ট)। পুরো সপ্তাহজুড়ে সামান্য হলেও মূল্য বেড়েছে ০ দশমিক ২৬ শতাংশ।
কুয়ালালামপুরভিত্তিক এক ব্যবসায়ীর মতে, ইরানে ইসরায়েলের বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পাম অয়েলের ওপর। কারণ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে বায়োডিজেল উৎপাদনে পাম অয়েল একটি সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (ডিসিই) ও শিকাগো বোর্ড অব ট্রেড (সিবিওটি)-এ অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিও পাম অয়েলের বাজারকে চাঙা করতে সহায়ক হয়েছে। ডিসিইতে গত শুক্রবার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং পাম তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে সিবিওটি-তে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশ ভারতেও পাম অয়েল আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (SEA)-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মে মাসে দেশটির পাম অয়েল আমদানি এপ্রিলের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৮ টনে।
এই বাজার বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতি, আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং প্রধান আমদানিকারক দেশগুলোর চাহিদা—সব মিলিয়ে পাম অয়েলের বাজারে নতুন করে গতি এসেছে। তবে স্থিতিশীলতা কতটা টিকে থাকবে, তা নির্ভর করবে আগামী দিনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহের ওপর।