
অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ ইতোমধ্যে ছয়টি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইসতিসনা ইস্যু সংক্রান্ত অনিয়ম ও কারসাজি।
আইএফআইসি গ্রান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর অনিয়ম ও কারসাজি।
বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের আইপিও অনুমোদন ও ইস্যু সংক্রান্ত অনিয়ম।আল আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্লক মার্কেটে শেয়ার অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কারসাজি এবং ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের শর্তসমূহ পরিপালনের বিষয়টি।
ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির কারসাজি, লভ্যাংশ বিতরণে অনিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা।কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড (পূর্বে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস লিমিটেড) এর পুঁজিবাজার সংক্রান্ত কারসাজি।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বিএসইসির ১১৮তম জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অতীতের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালিত হবে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ২১ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩-এর ধারা ১৭(ক)-এর আওতায় একটি বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি গঠনের পর থেকে মোট ১২টি বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বিএসইসি।