
অনলাইন ডেক্স: একটি দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন একটি প্রাণবন্ত পুঁজিবাজার। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুঁজিবাজারকে কার্যকর রাখতে বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ)-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং বন্ড অ্যান্ড সুকুক মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এই মন্তব্য করেন।
কর্মশালায় বক্তারা উল্লেখ করেন, সারা বিশ্বে সুকুক বন্ড অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এটি বাজারের জন্য একটি কার্যকর পণ্য। তবে অতীতে কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুকুকের অপব্যবহার করেছে, যা পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলেছে।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক এসএম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার, এবং প্রভাষক গৌরব রায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফাইমা আক্তার।
বিআইসিএমের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন বলেন, “বিআইসিএম দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে, যা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুঃখজনকভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা জনশক্তি পাচ্ছি না।”
তিনি আরও জানান, বিআইসিএমে অ্যাপ্লাইড ফাইনান্স অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ে একটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে, যার সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে, কিন্তু শিক্ষার্থী সংকট একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিএমজেএফের সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বন্ডের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বন্ডের কোনো বিকল্প নেই। তবে বন্ড সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।”
সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি ও অর্থসূচক-এর সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, “সঠিক সময়ে বন্ডের অপব্যবহার রোধ করা না গেলে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাতে পারেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত যারা বন্ড ও সুকুকের অপব্যবহার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”
সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী উল্লেখ করেন, শেয়ারবাজার একটি সংবেদনশীল ক্ষেত্র, যেখানে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের শেয়ারবাজার এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।