
অনলাইন ডেক্স: দেশে নতুন পেঁয়াজ ওঠার ফলে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
ফলে আমদানিকারকদের বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের লোডিং কমিয়ে দেওয়ায় আমদানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় সে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বেড়েছে এবং দামও কমেছে। তবে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (৪০৫ মার্কিন ডলার) নির্ধারিত থাকায় আমদানিকারকদের প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে রফতানি শুল্ক বাবদ ১০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছিল।
বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দাম আরও কমার কারণে সেখানকার কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেছেন। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য প্রতি টনে রপ্তানি মূল্য ১০০ মার্কিন ডলার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রপ্তানি মূল্য কমায় এখন এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতকে ৫০ হাজার রুপি কম শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২ রুপি কমেছে। এতে এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আগের তুলনায় প্রায় ৪ লাখ টাকা কমে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা সম্ভব হবে।