পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমোদন, পাইকারি বাজারে দাম কমেছে

প্রতিবেদক: সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার নতুন করে আমদানির অনুমোদনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর পরদিনই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।

গত মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বৃহস্পতিবার কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫-৬৬ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে দাম এখনও অপরিবর্তিত—৭৫ থেকে ৮৫ টাকা প্রতি কেজি।

পাইকাররা জানিয়েছেন, কৃষক ও জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা তাদের মজুত কম ছাড়ায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দাম বাড়েছিল। ঢাকা শ্যামবাজার পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, “তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে নেই।”

ফরিদপুরে, যেখানে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের একটি বড় অংশ, আমদানির ঘোষণার পর প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজের দাম ২,৮০০–৩,০০০ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ২,৫০০–২,৮০০ টাকায়। ফরিদপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র বাজার কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, “কৃষক ও বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে চাহিদা মেটানোর মতো সরবরাহ দিচ্ছেন না।”

রাজধানীর কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম এখন প্রতি কেজি ৮৫–৯০ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাস আগের তুলনায় দাম ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এ সময় দাম ছিল ১১০–১২০ টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি ৩৫–৪৮ টাকা ছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন যথেষ্ট—৩৯ লাখ টন। তবে সংগ্রহ ও ক্ষতি পোষাতে আরও ৬–৭ লাখ টন আমদানির প্রয়োজন হতে পারে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, “স্থানীয় বাজারে দাম কমাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী, যেখান থেকে কম দামে পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই আমদানি করা হবে। কোন দেশ নির্দিষ্ট করা হয়নি।”