পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি চেয়েছে

অনলাইন ডেক্স: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বকেয়া ও ভর্তুকি মেটাতে পেট্রোবাংলার আর্থিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪,৫১১ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানি বাবদ আরও ৫,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দ্রুত অর্থ ছাড়ের অনুরোধ জানিয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছর এলএনজি আমদানির জন্য ৬,০০০ কোটি টাকার ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছর  একই পরিমাণ বরাদ্দ ধরে ক্রয় পরিকল্পনা করা হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ২,০০০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে এলএনজি আমদানির মূল্য পরিশোধে ব্যয় হয়ে গেছে। বর্তমান ঘাটতি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১,৫৭৮ কোটি টাকা বাদ দিয়ে ৩,০০০ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে বছরগুলোর আর্থিক ঘাটতি ২৪,৯৮১ কোটি টাকা।২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্যাসের মূল্য ৮০ শতাংশ বাড়ানোর পরও ৪,২৮৭ কোটি টাকার ঘাটতি।
এই ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন তহবিল, ঋণ এবং আওতাধীন কোম্পানির মুনাফা ব্যবহার করা হয়েছে।

ডিসেম্বর পর্যন্ত এলএনজি আমদানির জন্য আরও ১২ কার্গো ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে সম্ভাব্য ঘাটতি দাঁড়াবে ৫,৭৮২ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে আমদানির মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে এলএনজি খাতে ৭,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ২,০০০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ছাড় করা হয়েছে। পুরো বরাদ্দ এখনই ছাড় করা সম্ভব নাও হতে পারে, তবে বিষয়টি বিবেচনাধীন।

যদি নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধ করা না হয় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সরবরাহকারীরা এলএনজি সরবরাহ বন্ধ করতে পারে। সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত সুদ গুণতে হবে।মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্টে (এমএসপিএ) অংশগ্রহণকারী সরবরাহকারীদের আগ্রহ কমে যাবে।

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেট্রোবাংলার জন্য ৫,০০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দ্রুত ছাড়ের প্রয়োজন। আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে এ সহায়তা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।