পোশাক খাতে মুনাফা বাড়ছে, কিন্তু সবাই সমানভাবে নয়

অনলাইন ডেক্স: চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কোম্পানি উচ্চ মুনাফা করেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বৈশ্বিক চাহিদার কারণে কোম্পানিগুলো ভালো ফলাফল দেখাতে পেরেছে।

তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টি উচ্চ মুনাফা করেছে, তবে ১৫টি প্রত্যাশা অনুযায়ী মুনাফা করতে পারেনি। জেড ক্যাটাগরির ১৫টি কোম্পানি এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আর্থিক সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে, তবে ছোট কোম্পানিগুলোকে টিকে থাকতে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে। ২০২৩ সালে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাশা ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ জানান, গত বছর রাজনৈতিক ও শিল্প অস্থিরতা এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান ব্যয় সংকট সামলাতে পারেনি, যেখানে বড় কোম্পানিগুলো নগদ অর্থ ও সহযোগী কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে এই ধাক্কা সামলাতে সক্ষম হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৩.২৮% বৃদ্ধি পেয়ে ১৯.৮৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এনভয় টেক্সটাইলের মুনাফা ১৬১%, স্কয়ার টেক্সটাইলের ৫৮% এবং মালেক স্পিনিং মিলসের ২২% বেড়েছে।

খাতের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্পিনিং মিলগুলো সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে তারা উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারছে না, ফলে ভারত থেকে সুতা আমদানি করতে হচ্ছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে মুনাফার ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং চাহিদার পরিবর্তনের কারণে কিছু কোম্পানি স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারলেও বাকিদের লড়াই করতে হয়েছে।