প্রিমিয়ার সিমেন্টের প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুতে বিএসইসির অসম্মতি

প্রতিবেদক: প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসির প্রেফারেন্স বা অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে অসম্মতি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৬১ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটির পর্ষদ পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর ৩২২টি নতুন অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়। পাঁচ বছর মেয়াদী প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ছিল ৫০ লাখ টাকা। তবে কোম্পানিটির স্মারকনামায় এই ধরনের শেয়ার ইস্যুর সুযোগ না থাকায় বিএসইসি এ প্রস্তাব অনুমোদন করেনি।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) প্রিমিয়ার সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরে এটি ছিল ৫ টাকা ১৯ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩১ পয়সায়, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫৮ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬৩ টাকা ৮৯ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২১.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৭ টাকা ৯৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা ৩৭ পয়সায়।

প্রিমিয়ার সিমেন্টের সর্বশেষ ঋণমান নিরীক্ষিত হয়েছে; দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি টু’ রেটিং পেয়েছে। ৩০ জুন ২০২৪ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসল) এই প্রত্যয়ন করেছে।

২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

বর্তমানে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার, যার মধ্যে ৪৩.৫৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশীদারিত্ব ২৬.৪৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের রয়েছে মাত্র ০.০১ শতাংশ এবং বাকি ২৯.৯৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।